বিশ্বনাথ বিডি ২৪ || 21 November, 2020, 7:50 PM || ভ্রমণ
সেন্টমার্টিনের মুল অংশ থেকে বিচ্ছিন্ন বলে দক্ষিন পূর্বাংশের নাম ছেঁড়াদ্বীপ। জোয়ারে সংযোগ চরটি আকন্ঠ ডুবে থাকা আর ভাটায় কিছুটা ভেসে ওঠে বলে ঝুঁকি না নিতে সেখানে ভ্রমণ করতে পর্যটকরা মুল জেটি থেকে ট্রলার বা স্পীডবোটেই ভরসা খুঁজে নেন। আর প্রতিকুল আবহাওয়ায় তো প্রশ্নই ওঠে না।
অথচ প্রচন্ড দুঃসাহসী, আত্মপ্রত্যয়ী আর নিঃসন্দেহে প্রগতিশীল চিন্তাধারী একটি পরিবার এই দূর্গম অংশেও বসতি গেড়েছে আরও অন্তত দেড়/দুই যুগ আগে থেকে। প্রয়াত গৃহকর্তা হোসেন আলী’র এই ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাকে আজ সযত্নে লালন করে চলেছেন তার পরিবার- পরিজন।
এই বিচ্ছিন্ন চরাচরে তারা তাদের বসতিস্থল সংলগ্ন এলাকায় গড়ে তুলেছেন পর্যটকদের সেবা দেয়ার মানসে অল্পবিস্তর থাকা-খাওয়ার সুব্যবস্থাদি।
আর এতেই ধারণা করে নেওয়া যায় তাদের বানিজ্যিক পরিকল্পনার ভিত্তি কতোটা দূরদৃষ্টিসম্পন্ন আর টেকসইও বটে। কৌতুহল নিয়ে গৃহকর্ত্রীর কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনিই জানালেন এসব তথ্য।
রোমাঞ্চপ্রিয় ট্যুরিস্টরা চাইলে প্রতিজন ২ শ’ টাকায় তাবু খেটে অথবা তাদের ডেরাতেই রাতযাপন করতে পারবেন এই ছেঁড়াদ্বীপের মতো অতি প্রত্যন্ত প্রান্তরেও। আমার দৃষ্টিতে_ পুরো বিষয়টি দুর্দান্ত চমৎকার আর মনে ধরার মতো!
উল্লেখ্য: এখনও এই পরিবারটিই ছেঁড়াদ্বীপে বসতি গড়ে তোলা একমাত্র পরিবার।
জিল্লুর রহমান জয়, লেখক, সাংবাদিক