বিস্তারিত
  • নদী ভাঙ্গনে হুমকির মুখে বিশ্বম্ভপুররের ‘ডলুরা’ গ্রাম


    বিশ্বনাথ বিডি ২৪ || 31 July, 2021, 4:59 PM || সুনামগঞ্জ


    সাইফুল ইসলাম বেগ, বিশ্বম্ভরপুর (সুনামগঞ্জ) থেকে ফিরে :-
    সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী ‘ডলুরা’ গ্রাম নদী ভাঙ্গনে হুমকির মুখে পড়েছে। ইতিমধ্যে নদী গর্ভে হারিয়ে গেছে গ্রামের একাধিক পরিবারের বসতভিটা ও রাস্তা-ঘাট। বিলীন হবার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে স্থানীয় প্রাইমারি স্কুল, দুটি মসজিদ, পঞ্চায়েতি কবরস্থানসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান। গ্রামের পাশ ঘেষে প্রবাহিত, ভারতের পাহাড় থেকে নেমে আসা ‘ধোপাজান চলতি নদী’ ক্রমান্বয়ে গ্রাস করেছে গ্রামের অর্ধেক।
    গ্রামবাসির অভিযোগ, সংশ্লিষ্টরা একাধিকবার পরিদর্শন করলেও, ভাঙ্গন রোধে নেয়া হয়নি কার্যকরী কোন প্রদক্ষেপ। এর আগে এ নদীতেই বিলিন হয়েছে ‘খায়ের গাঁও, কালিপুর, উড়ারকান্দাসহ কয়েকটি গ্রাম। ভিটেহারা হয়েছেন অজস্ত্র মানুষ।
    সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ডলুরা গ্রামের পূর্ব দিকে বয়ে চলেছে ভারতের পাহাড় থেকে নেমে আসা নীল জলের‘ধোপাজান চলতি নদী’। ‘সুরমা’য় গিয়ে পড়েছে এ নদী। মধ্যখানে বেশকিছু জায়গায় জেগেছে চর। তার দু’পাশে বইছে স্বচ্ছ নীল জলের প্রবাহ।

    দিনভর নদীর বুকে ছোট-বড় নৌকায় করে, কেউবা সাঁতরে তুলে আনছেন বালু, পাথর ও জ্বালানি। নদীর পুরো পাড় জুড়েই দেখা যায়, ভাঙ্গনের চিত্র। খাড়া ভাবে, বড় বড় অংশে নদীতে বিলীহ হচ্ছে গ্রামের ভিটে-মাটি। ভেঙ্গে পড়েছে ঘরবাড়ি, রাস্তা-ঘাট, দোকানপাট, বাঁশবাগান ও গাছগাছালি। ভাঙ্গনের মুখেই, ঝুঁকি নিয়ে অবশিষ্ট ভিটায় দিনযাপন করছেন অনেকেই। এখন নদীতে পানির প্রবাহ কম। বর্ষায় নদী ফুলে-ফেঁপে উঠলে, ভাঙ্গনে এবারও একাধিক পরিবার বাস্তুহারা হবার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
    গ্রামের সত্তোর্ধ মো. আবদুর রাজ্জাক জানান, প্রতি বছর ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে গ্রামের প্রায় ১ কিলোমিটার গ্রাস করেছে এ নদী। এখান থেকে ওখানে বসত ঘর পরিবর্তন করে করে আমরা হয়রাণ।

    ভাঙ্গন অব্যাহত থাকলে, আর যাবার জায়গা থাকবেনা আমাদের। গত বছর সরকারি ভাবে মাপ-যোগ নেয়া হলেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি কেউ।
    সলুকাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নূরে আলম সিদ্দীকি তপন জানান, নদীর নব্যতা হারালে পানি উপরের দিকে উঠে আসে। তখন ভাঙ্গন শুরু হয়। গভীরতা ঠিক থাকলে এমনটি হতো না। ভাঙ্গন রোধ ও নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে ইতিমধ্যে ড্রেজিং শুরু হয়েছে।
    এ বিষয়ে কথা হলে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাদিউর রহমান জাদিদ বিশ্বনাথবিডি২৪-কে বলেন, ভাঙ্গন প্রতিরোধে প্রত্যেক বছরই অস্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হয়। গেল বছর ওই এলাকায়ও তিনটি বাঁধ দেয়া হয়। বাঁধের কারণে অতিরিক্ত প্রবাহটা হয়নি। স্থায়ী বাঁধের কোন প্রক্রিয়া আমাদের নেই। এছাড়া অসাধুু বালু ও পাথর কেখোদের কারণে ভাঙ্গন ঠেকানো যাচ্ছেনা।



সর্বশেষ খবর


নিউজ খুঁজুন
আর্কাইভ
ফেইসবুক পেইজ