বিস্তারিত
  • বিশ্বনাথে ১৪৪ ধারা ভঙ্গের অভিযোগ


    বিশ্বনাথ বিডি ২৪ || 28 March, 2018, 10:01 PM || দশঘর


    সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের চান্দভরাং গ্রামে ভূমি নিয়ে দু’পক্ষের (চান্দভরাং গ্রামের আবদুর রহমান গং ও খলিলুর রহমান গং) বিরুধের জের ধরে জারিকৃত ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে পুকুর সেচের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১৪৪ ধারা ভঙ্গের অভিযোগে ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের একটি দল উপস্থিত হলে পুকুর সেচকারীরা সেচ কাজ বন্ধ করে সেচ পাম্প’সহ মাছ ধরার সামগ্রী নিয়ে চলে যায়। এদিকে এলাকাবাসীর অভিযোগ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে প্রথমে থানা পুলিশ সেচ পাম্প’সহ মাছ ধরার সামগ্রী জব্দ করলেও পরে তা মালিকের জিম্মায় দিয়েছে পুলিশ।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিরুধপূর্ণ ভূমিতে থাকা পুকুরে খলিলুর রহমান গংদের কেয়ারটেকার সাইকুল ইসলাম বুধবার সকালে সেচ শুরু করেন। এমন খবরের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)’র নির্দেশে বিশ্বনাথ থানার এসআই রফিকুল ইসলাম বাদলের নেতৃত্বে এক দল পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অভিযোগের সত্যতাও পান।

    সেচ পাম্প জব্দের কথা অস্বীকার করেন বিশ্বনাথ থানার এসআই রফিকুল ইসলাম বাদল বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হওয়ার পর ডুবায় সেচ বন্ধ করে চলে যায় গরীব একটি লোক।

    ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অমিতাভ পরাগ তালুকদার বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সেচ বন্ধ করেছে। পাশাপাশি আদালতের পরবর্তি নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত উক্ত ভূমিতে অনুপ্রবেশ না করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

    উল্লেখ্য, উপজেলার চান্দভরাং মৌজার, জেএল নং ১০৩, স্থিত ছাপা নং ৪৫৭, ৯১৪, ৯১৯, খতিয়নের জরিপী দাগ নং ৪৩১৩, বর্তমান খতিয়ান নং ডিপি ৯০, ১১৬৩, হাল দাগ নং ৪১৬৮ রাস্তা রকম ভূমি নিয়ে দু’পক্ষের (চান্দভরাং গ্রামের আবদুর রহমান গং ও খলিলুর রহমান গং)’র মধ্যে বিরুধ চলে আসায় এলাকার শন্তি-শৃংখলা রক্ষার স্বার্থে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। এর প্রেক্ষিতে চলতি বছরের ২০ জানুয়ারী বিশ্বনাথ থানার এসআই জহিরুল ইসলাম উভয় পক্ষকে নোটিশ নিয়ে বিরুধপূর্ণ ভূমিতে অনুপ্রবেশ না করার জন্য বলেন। এর সাথে সাথে কোন পক্ষই  উক্ত ভূমির পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংস্কার বা নির্মাণ কাজ করিয়া শান্তি-শৃংখলা বিঘ্ন না ঘটানোর জন্যও বলেন।



সর্বশেষ খবর


নিউজ খুঁজুন
আর্কাইভ
ফেইসবুক পেইজ