বিস্তারিত
  • পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি পেলেন বিশ্বনাথের রিমন


    বিশ্বনাথ বিডি ২৪ || 24 March, 2024, 10:14 PM || বিশ্বনাথ


    বিশ্বনাথবিডি২৪:: রিমন রাজ। যার অদম্য ইচ্ছা চাকরি করবে পুলিশে। পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) নিয়োগ পরীক্ষায় প্রথম অংশ নিয়েও বাজিমাত। পরিবারের সদস্যদের উৎসাহ পেয়ে পড়ালেখার পাশাপাশি পুলিশে চাকরি জন্য নেন প্রস্তুতি।
    স্বপ্ন ছিল পুলিশে চাকরির। অবশেষে ধরা দিয়েছে সেই স্বপ্ন। দৃঢ় মনোবল অনেক পরিশ্রমের চেষ্টায় স্বপ্ন পূরণ হয়েছে তার। নিয়োগ পেয়েছেন পুলিশের কনস্টেবল হিসেবে।
    বলছিলাম সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার রামপাশা গ্রামের ছেলে ও বিশ্বনাথ ডিগ্রি কলেজের সদ্য সমাপ্ত এইচ এসসি পরীক্ষার্থী রিমন রাজ (২১) কথা। তিনি অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্য আসলাম রাজ ও সিতারা বেগম দম্পতির ছেলে। শুধু রিমন রাজ নয়। রিমনের মতো অনেকেই চাকরি পেয়েছেন। ‘সেবার ব্রতে চাকরি’ ¯েøাগানকে সামনে রেখে শতভাগ মেধা, যোগ্যতা ও স্বচ্ছতার মাধ্যমে সিলেটে পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) নিয়োগ পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হয়েছেন ৮৬ জন তরুণ-তরুণী। কোনোরকম তদবির বা অর্থ লেনদেন ছাড়াই বাছাই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে চাকরি পেয়ে অনেকেই আবেগাপ্লুত হয়েছেন। চাকরির জন্য প্রত্যেকে খরচ করতে হয়েছে মাত্র ১২০টাকা।
    গত শনিবার (২৩মার্চ) রাত ৮টায় সিলেট নগরীর রিকাবীবাজারস্থ জেলা পুলিশ লাইন্সে নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে ১৩জন তরুণী ও ৭৩ জন তরুণ কনস্টেবল প্রাথমিক ভাবে নির্বাচিত হয়।
    ফলাফল ঘোষণা করেন বোর্ডেও চেয়ারম্যান ও সিলেট জেলার পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন। পরে পুলিশ সুপার সবার হাতে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এসময় সততার সহিত চাকরি করার জন্য সকলকে আহ্বান জানান পুলিশ সুপার।
    ২ হাজার ১৭৬ জন আগ্রহী চাকরিপ্রার্থীদের তিন ধাপে শারীরিক মাপ, কাগজপত্র যাচাই ও শারীরিক সহনশীলতা পরীক্ষা শেষে গত ১৬ মার্চ ৬২৯ জন লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। শনিবার সকালে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া ১৬১ জন মনস্তাত্ত্বিক ও মৌখিক পরীক্ষা অংশগ্রহণ করেন। মৌখিক পরীক্ষা শেষে ১৩ জন নারী ও ৭৩ জন পুরুষসহ মোট ৮৬ জন প্রার্থীকে ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে প্রাথমিক ভাবে নির্বাচন করা হয়।
    প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হওয়ার পর এই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় ইমন রাজের (২১) সঙ্গে। জানালেন প্রথম বারের চেষ্টায় ধরা দেয়া সেই স্বপ্নের পুলিশের চাকরি।
    রিমন রাজ বলেন, পরিবারের সদস্যদের উৎসাহ পেয়ে কঠোর পরিশ্রম করে নিজেকে প্রস্তুতি করেন এবং আজ তার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। এজন্য তিনি পরিবারসহ পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল-মামুনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।
    নিয়োগ পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হয়ে প্রথমে কাকে জানিয়েছিলেন জানতে চাইলে রিমন রাজ বলেন, প্রথমে আমি আমার মাকে মুঠোফোনে কল দিয়ে জানাই। ফোন কলে মা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। আমি দেশ ও জাতির জন্য যেনো কাজ করতে পারি তাই সবার কাছে দোয়া চাই।
    তিনি বলেন, বাবার মতো ছোট বেলা থেকে পুলিশ হওয়ার স্বপ্ন ছিলো। অনেকেই বলতেন পুলিশে চাকরি পেতে তদবির ও ঘুষ লাগে। কিন্তু এটা মানুষের ভুল ধারণা। মাত্র ১২০টাকা খরচ করে আজকে আমি চাকরি পেয়েছি। এজন্য আমিও আমার পরিবার জেলা পুলিশ সুপার মহোদয়কে ধন্যবাদ জানাই। পুলিশে চাকরি করে আমার মা-বাবার মুখে যেনো উজ্জ্বল করতে পারি তাই দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই।



সর্বশেষ খবর


নিউজ খুঁজুন
আর্কাইভ
ফেইসবুক পেইজ