নিজস্ব প্রতিবেদক :: বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুসরাত জাহানের হস্তক্ষেপে উপজেলা শহরের নতুনবাজারস্থ জামিয়া ইসলামিয়া দারুল উলুম মাদানিয়া বিশ্বনাথ মাদ্রাসার সামন দিয়ে রাস্তা নির্মাণকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সৃষ্ট বিরোধ নিষ্পত্তি হয়েছে। সোমবার দুপুরে (২৮ মে) উপজেলা পরিষদ কনফারেন্স হলরুমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আয়োজিত এক সমঝোতা বৈঠকে দু’পক্ষের বিরোধ নিষ্পত্তি হয়। বৈঠকে দু’পক্ষ ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুসরাত জাহানের সভাপতিত্বে বৈঠকে বক্তব্য রাখেন বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম নুনু মিয়া, থানার অফিসার ইন-চার্জ গাজী আতাউর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মকদ্দছ আলী, বিশ্বনাথ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কাজী মুহাম্মদ জামাল উদ্দিন, জামেয়া মাদানিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা শিব্বির আহমদ, ২নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও পৌর মেয়রের প্রতিনিধি ফজর আলী, মাদানিয়া মাদ্রাসার মজলিসে শুরা সদস্য হাজী আব্দুল মন্নান, তাজ উদ্দিন, ব্যবসায়ী আব্দুল জলিল জালাল, সাবেক ইউপি সদস্য নূরুল হক।
বৈঠকে দু’পক্ষের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জামেয়া মাদানিয়ার সাবেক মুহতামিম মাওলানা জহির উদ্দিন আহমদ, জামিয়া মাদানিয়া মহিলা মাদ্রাসার শিক্ষা সচিব মাওলানা কামরুল ইসলাম ছমির, মাওলানা নূরুল ইসলাম, শিক্ষানুরাগী হাজী ফজর আলী, হাজী সফিক মিয়া, আরশ আলী রেজা, হিরণ মিয়া মেম্বার, রফিক আলী মেম্বার, শামছুল ইসলাম, জাহির আলী, মাওলানা রশিদ আহমদ, মাওলানা ফখর উদ্দিন আহমদ, শাহ আলম খোকন, বেলাল আহমদ ইমরান, আব্দুল হান্নান, ছমির আলী, সাইদুর রহমান, হাফিজ ফয়জুল হক, পৌর মেয়রের প্রতিনিধিদের মধ্যে বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আব্দুল মতিন, প্রচার সম্পাদক নিখিল পাল, ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহাম্মদ সুমন, ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জহুর আলী, বিশ্বনাথ উপজেলা শ্রমিক ঐক্য জোটের উপদেষ্ঠা ময়না মিয়া, সমাজসেবক আলী হোসেন ইংরেজ, সংগঠক হেলাল মিয়াসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার লোকজন।

সভায় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে রয়েছে রাস্তা হবে মূল সড়ক ঘেষে পরিকল্পিতভাবে মাদ্রাসার সামনের গেইটের দক্ষিণ পাশ দিয়ে। মাঝখানে খালি জায়গায় কোন পক্ষ কিংবা তৃতীয় কোন পক্ষ কোন দোকান বসাতে পারবেন না। মূল সড়কের পূর্ব পাশে খালি জায়গা থাকলে সেখানে পৌরকর্তৃপক্ষ দৃষ্ঠিনন্দন ও সুন্দর্য বর্ধনের জন্য লাইটিং, ওয়াকওয়ে নিমার্ণ করবেন। মাদ্রাসার ছাত্র ও মসজিদে আসা মুসল্লিদের ক্ষতি হয় এমন কাজ করা যাবে না।
দুই সড়কের মাঝখানে কিংবা অন্য খালি জায়গায় কোন স্থায়ী-অস্থায়ী দোকান বসানো যাবে না মর্মে পৌরকর্তৃপক্ষ মাদ্রাসার সাথে একটি লিখিত চুক্তি করবেন। সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কোন পক্ষ সংবাদ সম্মেলন, স্যোসাল মিডিয়ায় কিংবা গণমাধ্যমে কারো বিরুদ্ধে কোন কথা বলতে পারবেন না। সড়কের পাশের ফুটপাতের উপর ফলের দোকানগুলো সরিয়ে তাদের নিজস্ব জায়গায় ধানহাটার ফলপট্রিতে সরিয়ে দিয়ে ফুটপাত খালি করে জনসাধারণের চলাফেরা নিশ্চিত করতে পৌরকর্তৃপক্ষকে দায়িত্ব দেয়া হয়।
সভায় উভয় পক্ষের মধ্যে ভুলবোঝাবুজির কারণে সৃষ্ট বিরোধে কেউ মনে কষ্ট পেয়ে থাকলে স্থানীয় কাউন্সিলর ফজর আলী ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার আহবান জানান।