বিস্তারিত
  • বিশ্বনাথে ঘাতক বন্ধুর স্বীকারোক্তি, চাকু উদ্ধার


    বিশ্বনাথ বিডি ২৪ || 23 June, 2020, 3:23 PM || বিশ্বনাথ


    বিশ্বনাথ বিডি ২৪ঃ- বন্ধুর কাছে পাওনা টাকা চাওয়াই ‘কাল’ হলো সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার তরুণ ব্যবসায়ী রুসেল আহমদ(২৬)’র। ‘খতরনাগ বন্ধু’র নির্মমতায় মরতে বসেছিলেন তিনি। বন্ধুর বাড়ি ঈদের নিমন্ত্রণে গিয়ে মাথা ও গলায় ধারালো অস্ত্রের জখমে আজ জীবন বিপন্ন তার। অবশেষে এ ঘটনায় পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তি দিয়েছে তারই ঘনিষ্ট বন্ধু আটক রাজু খান (২১)। তার স্বীকারোক্তিতে গেল সোমবার (২২ জুন) হত্যা চেষ্টায় ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করেছে সিলেট জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ঘটনাস্থলের পাশ্ববর্তী খাল থেকে এ চাকু উদ্ধার করা হয়। গেল ঈদুল ফিতরের দিন রাতে উপজেলার দৌলতপুুর ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। তারা দু’জনেই একই গ্রামের বাসিন্দা ও পরস্পর বন্ধু। পুলিশ সূত্র জানায়, সীকারোক্তিতে রাজু জানিয়েছে, তারা দুু’জনেই ঘনিষ্ট বন্ধু হয়। ব্যবসায়ী বন্ধু রুসেলের কাছ থেকে ৭০ হাজার ধার নিয়েছিল রাজু। দীর্ঘদিনেও তা পরিশোধ না করায় চাপ দিচ্ছিল সে। এ নিয়ে তার সাথে বাকবিতন্ডাও হয়। এর জের ধরেই তাকে হত্যা করে লাশ গুমের পরিকল্পনা করে রাজু। পরিকল্পনানুুযায়ী ঈদের পরদিন রাতে তাকে নিমন্ত্রণ করে সে। আগের ব্যবস্থা করে রাখে ধারালো অস্ত্র ও নেশাজাতীয় দ্রব্য। রাত ১০টায় রুসেল দাওয়াতে উপস্থিত হলে কৌশলে তাকে চা ও কোমল পানীয়’র সাথে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাওয়ায়। এক পর্যায়ে সে চেতনা হারালে বাড়ীর পাশ্ববর্তী মাজারের বৈঠকখানায় নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথা ও গলার দুু’পাশে কোপায় সে। তখন প্রতিরোধের কোন শক্তি ও জ্ঞান ছিল না রুসেলের। পরে মৃত ভেবে কাঁধে করে তার লাশ গুম করতে নিয়ে যাচ্ছিল গ্রামের জঙ্গলে। এ সময় মোটরসাইকেলে আসা গ্রামের অন্য দু’যুবক দেখে ফেলায় উদ্ধার হয় রুসেল। তারা উভয়কেই রক্তাক্ত দেখে কি হয়েছে জানতে চাইলে স্বাভাবিক ভাবেই রাজু জানায়, আমার বাড়ি থেকে যাবার পথে কে বা কারা তাকে জখম করেছে। সে আমাকে ফোন দেয়ায় আমি দৌড়ে এসে তাকে অজ্ঞান অবস্থায় দেখতে পাই। পরে ওই দু’জনের সাথে রাজুও রুসেলকে বাড়ী পৌছে দেয়। রুসেলের মামা আবদুল খালেক জানান, রুসেলের অবস্থা এখনও ভালো নয়। গলায় যে দুটি কোপ দেয়া হয়েছে এতে তার শারীরিক অবস্থা ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। টাকা আত্মসাৎ করতেই আমার ভাগ্নেকে প্রাণে মেরে ফেলতে চেয়েছিল সে। আল্লাহর অশেষ রহমতে আমরা তাকে জীবিত পেয়েছি। এ বিষয়ে কথা হলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিলেট গোয়েন্দা পুলিশের এসআই সৈয়দ ইমরোজ তারেক সাংবাদিকদের বলেন, ধার নেয়া টাকা আত্মসাৎ করতেই রাজু খান এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আমাদের জানিয়েছে। তার স্বীকারোক্তিতে ও তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনাস্থল থেকে হত্যা চেষ্ঠায় ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করা হয়েছে।



সর্বশেষ খবর


নিউজ খুঁজুন
আর্কাইভ
ফেইসবুক পেইজ