বিস্তারিত
  • ডিসেম্বরেই ভোট হতে যাচ্ছে: ওবায়দুল কাদের


    স্টাফ রিপোর্টার || 23 January, 2018, 12:34 AM || জাতীয়


    ‘ডিসেম্বরেই ভোট হতে যাচ্ছে। গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষককে পরাজিত করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে পাকিস্তানের ভাবধারা চলতে পারে না। তাই আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করতে হবে’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

    সোমবার হিন্দু ধর্মের উৎসব সরস্বতী পূজা উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের কেন্দ্রীয় উপসনালয় পরিদর্শনে এসে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে ওবায়দুল কাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন্নাহার হল পরিদর্শনে যান। এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন উপস্থিত ছিলেন।

    আপনারা নিজেদের মাইনরিটি ভাববেন না উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই বাংলাদেশে হিন্দু, মুসলিম, খ্রিস্টান সবার সমান অধিকার। মাঝে মাঝে কিছু ঘটনা ঘটে। মনে রাখবেন, এদের কোনো দল নেই। এরা দুর্বৃত্ত। আপনারা নিজেদের মাইনরিটি ভাববেন না। সরকার যেকোনো প্রয়োজনে আপনাদের সাথে থাকবে।

    সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে অসাম্প্রদায়িক সুরের ঐক্য প্রয়োজন উল্লেখ করে কাদের বলেন, সাম্প্রদায়িকতার বিষবাস্প ছড়ানো হচ্ছে। মানুষে মানুষে বিভেদ তৈরি করা হচ্ছে। তবুও আমরা স্থিতি বজায় রেখেছি। এই স্থিতি ধরে রাখার জন্য সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে অসাম্প্রদায়িক সুরের ঐক্য প্রয়োজন।

    আবারও মির্জা ফখরুলের চ্যালেঞ্জ ওবায়দুল কাদেরের প্রতি!
    আবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে ভয় কেন?

    রবিবার বিকালে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নীচের তলায় দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে জিয়া স্মৃতি পাঠাগার আয়োজিত পুস্তক প্রদর্শনী ও আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের সম্প্রতি দেওয়া বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তিনি এই চ্যালেঞ্চ ছুড়ে দেন।

    বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘গতকাল (শনিবার) ওবায়দুল কাদের সাহেব বলেছেন আমরা (বিএনপি) নাকি ৮ ভাগও ভোট পাবো না। উনাকে জিজ্ঞেস করতে চাই- তাহলে আপনারা ভোট দিচ্ছেন না কেন? আপনাদের কীসের ভয়? নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটা ভোটের আয়োজন করেই দেখুন- কে কত ভোট পায়।’

    মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এরা সহজেই নির্বাচন করবে না। কারণ এরা জানে যে, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে যদি নির্বাচন হয়, তাহলে এরা কোনোদিনই ক্ষমতায় আসতে পারবে না। ক্ষমতায় আসতে না পারলে এদের যে কী হাল হবে এই বিষয়ে জনগণ খুব ভালো করে জানেন।’

    সংবিধানে যে ‘তত্ত্বাবধায় সরকার’ বিধান ছিল তাহলে তারা পরিবর্তন করলেন কেন এমন প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, তৎকালীন বিচারপ্রতি খায়রুল হক বলেছিলেন, এই তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আরো দু’টি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কই সেই কথা তো নেননি।

    সরকারের চার বছরের উন্নয়নের রোল মডেল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আপনারা উন্নয়ন উদযাপন করেছেন। কিসের উন্নয়ন। এরশাদ সরকারও উন্নয়ন উদযাপন করেছিলেন। তাকেও বিদায় নিতে হয়েছে। আজ যাকে স্বরণ করা হয় (শেখ মুজিব), তিনিও যখন স্বৈরাচারে পরিণত হয়েছেন, জনগণের মাঝে চাপিয়ে দিয়েছেন তখন জনগণও তাকে প্রত্যাখ্যান করেছে।

    অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সাম্প্রতিক বক্তব্যের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, গতকাল তিনি বলেছেন, বিএনপি একটি অবোধ দল, বোধ নাই। আর আপনি (অর্থমন্ত্রী) হচ্ছেন বোধ সম্পন্ন মানুষ। এমন বোধ সম্পন্ন যে আপনি বলেন সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা লুট করে নিয়ে যায়- ওই টাকা কিছু না। আপনার মন্ত্রণালয়ের অধীনে বেসিক ব্যাংকের হাজার হাজার কোটি টাকা লুট হয়ে যায়, আপনি বলেন যে, কিছুই না।’

    তিনি আরো বলেন, আপনার সহকর্মী মন্ত্রী ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দিন খান আলমগীর। তিনি একটা ব্যাংক নিয়েছিলেন আপনার কাছ থেকে, সেই ব্যাংক লাটে উঠে গেছে। ৫ হাজার টাকা চেক দিলেও ফেরত আসে।

    বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগসাজশ করে এই কাজটা (স্থগিত) করেছেন যাতে করে এটা রিট হয় এবং নির্বাচন করতে না হয়। নির্বাচন করলেই তো আপনাদের ভরাডুবি। সিটি করপোরেশ নির্বাচনে আপনাদের ভরাডুবি অবধারিত ছিলো বলে সেকারণে আপনারা নির্বাচন বন্ধ করেছেন।’

    জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালামের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন- দলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল, জিয়া স্মৃতি পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক জহির দীপ্তি, সাঈদ আহমেদ আসলাম প্রমুখ।

    rtnn



সর্বশেষ খবর


নিউজ খুঁজুন
আর্কাইভ
ফেইসবুক পেইজ