বিস্তারিত
  • হোসেইন মুহাম্মদ এরশাদের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু


    বিশ্বনাথ বিডি ২৪ :: || 02 February, 2018, 5:13 PM || সিলেট


    সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ বলেছেন, আমরা তত্ত্বাবধায়ক সরকারে বিশ্বাসী নই। কারণ, তত্ত্বাবধায়ক সরকার জাতীয় পার্টির প্রতি সুবিচার করেনি। সাংবিধানিক পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে জাতীয় পার্টি।
    তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার সিলেটে হযরত শাহজালাল (রহ:) মাজার জেয়ারত শেষে প্রেস ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন। সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদ বলেন, আগামীকাল শুক্রবার (আজ) থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করতে তিনি দলের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে মাজার জেয়ারতে এসেছেন। জনগণের ভালোবাসা ও দোয়ায় নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ভালো ফলাফল করবে বলে জানান। তিনি বলেন, ৩’শ আসনেই জাতীয় পার্টির প্রার্থী রয়েছে। রাজনৈতিক অবস্থা দেখে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে উল্লেখ করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান।
    প্রেস ব্রিফিংকালে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ আরো বলেন, তিনি জোটে নেই, জাতীয় পার্টি বিরোধী দলে। জাতীয় পার্টিকে ক্ষমতায় নিয়ে জনগণের সেবা করতে চান। তিনি বলেন, তার দল গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। নির্বাচনে বিশ্বাস করে। নির্বাচন ছাড়া সরকার পরিবর্তন হয় না। নির্বাচন ছাড়া প্রতিবাদ করা যায় না বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এ প্রসঙ্গে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, ১৯৯০ সালে তিন জোটের রূপরেখা মেনে পদত্যাগ করেছিলাম। আশা করেছিলাম নির্বাচন করতে পারবো। কিন্তু বিচারপতি শাহাব উদ্দিনের সরকার তার প্রতি অবিচার করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ বলেন, তার পরিবার পরিজনসহ জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের জেলে দেয়া হয়। ৬ বছর জেলে ছিলেন এবং জেলে থেকেও নির্বাচনে অংশ নেয়ার কথা উল্লেখ করেন। সে সময় সিলেট থেকে ৮টি আসনে জাতীয় পার্টিকে নির্বাচিত করায় সিলেটবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এ কারণে তিনি মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন বলেও জানান এরশাদ। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রায় সম্পর্কে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আদালতের রায় আসার পর এ ব্যাপারে মন্তব্য করব। কারণ, আদালতের রায় সকলকে মানতে হয়। তার বিরুদ্ধেও অনেক রায় হয়েছে। তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা কারা বরণ করেছেন।
    এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়া উদ্দিন বাবলু, কাজী ফিরোজ রশিদ, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গা, প্রেসিডিয়াম সদস্য এটিএম তাজ রহমান, আতিকুর রহমান আতিক, মেজর (অব) খালেদ, বিরোধী দলীয় হুইপ সেলিম উদ্দিন, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান আলমগীর শিকদার লুটন ও এডভোকেট গিয়াস উদ্দিন, পার্টির কেন্দ্রীয় মহাসচিব ইয়াহইয়া চৌধুরী এমপি, এম এ মুনিম এমপি, এডভোকেট পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ এমপি, সিলেট জেলা জাতীয় পার্টির সদস্যসচিব উছমান আলী, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ইশরাকুল হোসেন শামীম প্রমুখ।
    জাতীয় পার্টির দলীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ২টায় তিনটি হেলিকপ্টারযোগে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। পরে তিনি হযরত শাহজালাল (রহ:) ও হযরত শাহপরান (রহ:) মাজার জেয়ারত করেন। তিনি সার্কিট হাউজে দুপুরের খাবার খেয়ে বিকেল পৌনে ৪ টার দিকে ঢাকার উদ্দেশ্যে সিলেট ত্যাগ করেন। তার আগমনের খবর পেয়ে নেতা-কর্মীরা বিমানবন্দর ও মাজার গেইটের সামনে অবস্থান নেন। নেতা কর্মীদের মুহুূর্মুহু স্লোগান দিতে দেখা যায় এ সময়।



সর্বশেষ খবর


নিউজ খুঁজুন
আর্কাইভ
ফেইসবুক পেইজ