বিস্তারিত
  • বিশ্বনাথে পুলিশের উপর হামলা


    বিশ্বনাথ বিডি ২৪ || 13 February, 2021, 5:39 PM || বিশ্বনাথ


    বিশ্বনাথবিডি২৪:- বিশ্বনাথে দু’পক্ষের উত্তেজনা থামাতে গিয়ে পুলিশের উপর হামলা করা হয়েছে। এতে থানা পুলিশের কনস্টেবল বদরুদ তালুকদার ও নাহিদ হাসান আহত হয়েছেন।

    এসময় ৮ রাউন্ড ফাকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উপজেলা টেপিগঞ্জ প্রতাবপুর এলাকায় এঘটনাটি ঘটে।

    এঘটনায় বিশ্বনাথ থানার এসআই ফজলুল হক বাদী হয়ে উপজেলার লামাকাজী ইউনিয়নের টেপিগঞ্জ গ্রামের তাজউদ্দিনসহ ২০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ১০/১৫ জনকে অজ্ঞাতনামা অভিযুক্ত করে শুক্রবার রাতে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং-১৩।

    জানা যায়, উপজেলার লামাকাজী ও খাজাঞ্চী ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী কেশুয়া খালে মাছ ধরা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকার দুটি পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে।

    বৃহস্পতিবার রাতে টেপিগঞ্জ গ্রামের তাজউদ্দিন পক্ষের লোকজন পাম্প মেশিনের মাধ্যমে খালের পানি সেচ করতে থাকেন। এনিয়ে টেপিগঞ্জ এবং মাখরড়গাঁও-প্রতাভপুর গ্রামের লোকজনদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। খবর পেয়ে রাত ১টার দিকে থানার এসআই ফজলুল হকের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে।

    তখন পুলিশ টেপিগঞ্জ গ্রামের লোকজনকে পানি সেচ বন্ধ করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করতে বললেও তাতে কর্ণপাত না করে সেচকাজ চালিয়ে যেতে থাকেন টেপিগঞ্জ গ্রামের লোকজন।

    একপর্যায়ে পুলিশ লাটিচার্জ করে ঘটনাস্থল থেকে লোকজনকে সরিয়ে দেয়। থানা পুলিশ জানায়, সেচকারীদের ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দিয়ে পানি সেচের দুটি মেশিন জব্দ করে পুলিশ থানায় নিয়ে যেতে চাইলে টেপিগঞ্জ গ্রামের তাজউদ্দিন, নুরুল ইসলাম ও সফিক মিয়াসহ গ্রামের ৩০/৩৫ জন নারী-পুরুষ ডাকাত ডাকাত চিকিৎকার করে পুলিশ সদস্যদের উপর হামলা চালান।

    এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৮ রাউন্ড ফাকা গুলি ছুড়ে পুলিশ। হামলায় আহত হয়েছেন থানা পুলিশের কনস্টেবল বদরুদ তালুকদার ও নাহিদ হাসান।

    আহতদেরকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এদিকে, টেপিগঞ্জ গ্রামের শফিক আলী সাংবাদিকদের জানান, খাল থেকে মেশিন দিয়ে গ্রামের লোকজন বোরো জমিতে পানি সেচ করছিলেন।

    হটাৎ করে বৃহস্পতিবার রাতে খালের পানি সেচ বন্ধ করে সাবেক মেম্বার আব্দুস শহীদের লোকজন পুলিশকে সাথে নিয়ে তাদের ৮টি বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও তিনজনকে মারপিট করে আহত করেছে।

    এসময় খালে থাকা পানি সেচের তাদের ৪টি মেশিনও নিয়ে যায় প্রতিপক্ষের লোকজন। হামলা ও ভাংচুরের বিষয়টি মিথ্যা দাবি করে প্রতাবপুর গ্রামের সাবেক মেম্বার আব্দুস শহিদ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ওই খালে মাছ ধরা নিয়ে অপর একটি পক্ষের সাথে কোর্টে মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

    এবছর তাজউদ্দিনের লোকজন মেশিন দিয়ে খালে মাছ ধরতে গেলে আমি পুলিশকে বিষয়টি অবগত করেছি।

    মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামীম মুসা বলেন, পুলিশের উপর হামলাকারীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।



সর্বশেষ খবর


নিউজ খুঁজুন
আর্কাইভ
ফেইসবুক পেইজ