বিস্তারিত
  • বিশ্বনাথে সংখ্যালঘু পরিবারের ওপর হামলা : আহত ৩, থানায় মামলা


    বিশ্বনাথ বিডি ২৪ || 12 March, 2018, 7:54 PM || খাজান্সী


    বিশ্বনাথে পূর্ব বিরোধের জের ধরে সংখ্যালঘু পরিবারের উপর প্রতিপক্ষের হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের নোয়ারাই গ্রামে শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সংখ্যালঘু পরিবারের বাড়ির পুকুর সংলগ্ন জমিতে ঘটনাটি সংগঠিত হয়। প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুত্বর আহত সংখ্যালঘু পরিবারের ৩ সদস্য আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

    আহতরা হলেন নোয়ারাই গ্রামের মৃত রাকেশ চন্দ্র দাশের পুত্র রসেন্দ্র দাশ (৪৭), রঞ্জু দাশ (৩০), রতিশ চন্দ্র দাশের পুত্র রিপন দাশ (২১)। হামলার ঘটনায় আহতদের বড় ভাই ও রামপাশা ইউপির সাবেক সচিব রতিশ চন্দ্র দাশ বাদী হয়ে বিশ্বনাথ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ১৬ (তাং ১১.০৩.১৮ইং)।

    মামলার অভিযুক্তর হলেন- নোয়ারাই গ্রামের আবদুল খালিকের পুত্র মঈন উদ্দিন (৩০), সেলিম উদ্দিন (৩২), আলাল উদ্দিন (২০), মৃত আবদুর রহিমের পুত্র ইসলাম উদ্দিন (৩২), মৃত আবদুল হাসিমের পুত্র রফিক উদ্দিন (৪০), মাসুক মিয়ার পুত্র মাসুম মিয়া (২০), মৃত আবদুর রহমানের পুত্র ফিরোজ মিয়া। এছাড়া আরোও ৫/৬ জনকে অজ্ঞাতনামা অভিযুক্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে অভিযুক্ত রফিক উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ।

    বাদী সাবেক ইউপি সচিব রতিশ চন্দ্র দাশ নিজের লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন, তারা (রতিশ গং) সংখ্যালঘু পরিবারের সদস্য হওয়ার কারণে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন বাদী পক্ষের ক্ষতি সধনের অপচেষ্ঠায় লিপ্ত রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে গত শনিবার বিকেলে নোয়ারাই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে রশ্বিটান খেলাকে কেন্দ্র করে মামলার বাদীর ছোট ভাই রঞ্জু ও প্রধান অভিযুক্ত মঈন উদ্দিনের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। খেলা শেষে যে যার বাড়িতে চলে যান। বিকেল সড়ে ৫টর দিকে রামদা, চাপাতি, সুলফি, লোহার রড, জিআই পাইপ, লাঠি-সোঠা নিয়ে সজ্জিত হয়ে সংখ্যালঘু পরিবারের বসত-বাড়ির পুকুর সংলগ্ন জমিতে এসে রঞ্জুকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। এসময় রঞ্জু এগিয়ে গেলে অভিযুক্তরা তাকে (রঞ্জু) সুলফি দিয়ে ঘা মারে, জিআই পাইপ ও লাটি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে। রুঞ্জুকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে অভিযুক্তরা রঞ্জুর আরেক বড় বড় রসেন্দ্র দাশের উপর হামলা করে। রামদার আঘাতে রক্তাক্ত জখম হয়। দুই চাচার (কাকা) আতœৎচিৎকার শুনে এগিয়ে গেলে অভিযুক্তরা রিপন দাশের উপরও হামলা করে। রিপন মামলার বাদীর পুত্র।

    সংখ্যালঘু পরিবারের উপর হামলার ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করেছেন বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শামসুদ্দোহা পিপিএম।



সর্বশেষ খবর


নিউজ খুঁজুন
আর্কাইভ
ফেইসবুক পেইজ