বিস্তারিত
  • সরকারি কেনাকাটায় কট্টর জাতীয়তাবাদী অবস্থান দুই মন্ত্রীর


    স্টাফ রিপোর্টার || 19 January, 2018, 8:30 PM || তথ্য প্রযুক্তি


    সরকারি কেনাকাটায় দেশীয় পণ্যের অগ্রাধিকার নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এবং তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

    বৃহস্পতিবার গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটনের কম্পিউটার কারখানার উদ্বোধনকালে দুই মন্ত্রীই বলেন, একই মানসম্পন্ন দেশী ও বিদেশী পণ্যের ক্ষেত্রে দেশী পণ্য সরকারি কেনাকাটায় অগ্রাধিকার পাবে।

    মোস্তাফা জব্বার বলেন, কোনো কোনো প্রকল্পে দাতা সংস্থার শর্তই থাকে যে তাদের পরামর্শে পণ্য কিনতে হবে।  এটা ছাড়া সরকারি কেনাকাটার অন্য সব ক্ষেত্রে টেন্ডারে দেশীয় পণ্য অংশগ্রহণের সুযোগ তো পাবেই বরং অগ্রাধিকার থাকবে।

    এসময় জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘বাংলাদেশী পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রের মন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা কট্টর জাতীয়তাবাদী অবস্থান গ্রহণ করেছি।’

    ‘তিনি এবং আমি দু’জনেই এ বিষয়ে আশ্বস্ত করতে চাই, আগামীতে সরকারের যে নিজস্ব অর্থায়নে প্রকল্পগুলো হয়, সরকারের যে কম্পিউটার কেনাকাটাগুলো হয়- সেখানে আমাদের অরিজিন অব কান্ট্রি থাকবে বাংলাদেশ। এটি আমরা টরে উল্লেখ করে দিতে চাই।’

    ‘বাংলাদেশের ম্যানুফ্যাকচারিং কম্পিউটার দিয়েই বাংলাদেশের ছেলেমেয়েরা পড়াশুনা করবে।’-বলছিলেন পলক।

    দেশে প্রায় ৫ কোটি মিডল ইনকাম কনজিউমার আছেন। সেখানে বছরে সাড়ে ৩ কোটি মোবাইল ফোন বিক্রি হয়, ৫ লাখ কম্পিউটার আমদানি করতে হয়। এই বিশাল বাজারে সাহসী পদক্ষেপকে সহযোগিতা না করলে সফলতা আসবে না-বলেন পলক।

    শুধু তথ্যপ্রযুক্তি ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ নয় সরকারের সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও দপ্তর পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে এই মেইড ইন বাংলাদেশ অগ্রাধিকার দেবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রতিমন্ত্রী।

    সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তরে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী বলেন, দেশের হার্ডওয়্যার খাতে ট্যাক্স হলিডে দেয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত। বিষয়টি ঘোষণা অপেক্ষায় আছে।

    এতে দেশে তথ্যপ্রযুক্তি পণ্য উৎপাদন ও বিক্রিতে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ট্যাক্স হলিডে পাবেন উদ্যোক্তরা।

    মোস্তাফা জব্বার বলেন, একটি হাইটেক পার্কে যা যা থাকা দরকার, তার সমস্ত কিছুই ওয়ালটনের রয়েছে। তারা আবেদন করলে হাইটেক পার্কের সকল সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

    তিনি জানান, ওয়ালটন কারখানায় দুই স্তর বিশিষ্ট মাদারবোর্ড তৈরি হচ্ছে। চলতি বছরের মধ্যেই ওয়ালটন মাল্টিলেয়ার মাদারবোর্ড তৈরিসহ কম্পিউটারের সমস্ত কিছুই যেমন র‌্যাম, এএসডি ডিভাইসেস ইত্যাদি নিজেরাই তৈরির পরিকল্পনা করছে। এটা বিশাল ব্যাপার।

    ওয়ালটনের কম্পিউটার কারখানা করাকে সাহসী উদ্যোগ উল্লেখ করে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সাহসী উদ্যোক্তাদের সাহসী পদেক্ষপে সরকারের সহযোগিতায় হার্ডওয়্যারে সফলতা আসবে । ওয়ালটনের যে ধরণের অত্যাধুনিক প্রোডাকশন ও অ্যাসেম্বিলিং লাইন তাতে অসম্ভবকে সম্ভব করেছে তারা।

    কারখানা উদ্বোধনে দুই মন্ত্রীকে স্বাগত জানান ওয়ালটন গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান এস এম নূরুল আলম রেজভী।

    এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস এম শামসুল আলম ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম আশরাফুল আলম, ওয়ালটন ডিজিটেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস এম রেজাউল আলম এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মঞ্জুরুল আলম।



সর্বশেষ খবর


নিউজ খুঁজুন
আর্কাইভ
ফেইসবুক পেইজ