বিস্তারিত
  • সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা পাবে স্কুলগুলো


    স্টাফ রিপোর্টার || 19 January, 2018, 9:00 PM || শিক্ষাঙ্গন


    সারাদেশে ৩০০০ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনসহ অন্যান্য ভবন নির্মাণ করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। পাশাপাশি এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসবাবপত্র সরবরাহ করা হবে। এতে ব্যয় হবে ১০ হাজার ৬৪৯ কোটি টাকা।

    দেশের মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের বর্ধিত চাহিদা পূরণ ও শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করার লক্ষে এই প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার।

    মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন। আজকের সভায় মোট ১৪ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়।

    একনেক সভা শেষে প্রকল্পগুলো নিয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

    ‘নির্বাচিত বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহের উন্নয়ন’ প্রকল্পটিতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ হাজার ৬৪৯ কোটি টাকা। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের আওতায় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর জুলাই ২০১৭ হতে জুন ২০২০ মেয়াদকালে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে।

    প্রকল্প সম্পর্কে বলা হয়, সার্বজনীন বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা প্রবর্তনের ফলে মাধ্যমিক স্তরে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা কয়েক দশকে ব্যাপক বেড়েছে। সবার জন্য শিক্ষা নিশ্চিত করতে বিদ্যমান মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রেণীকক্ষের সংখ্যা বাড়ানো আবশ্যক। বর্তমানে দেশে ৩২৭টি সরকারি ও ১৯৩৫৭টি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। প্রকল্পের আওতায় সারাদেশের ৩০০০টি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য ভবন নির্মাণ করা হবে। ফলে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে শিক্ষার্থীদের বর্ধিত চাহিদা পূরণ হবে এবং শিক্ষার ভাল পরিবেশ সৃষ্টি হবে।

    অন্য প্রকল্পগুলো হচ্ছে এক হাজার ৬৭০ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ব্যয়ে বন্যাপ্রবন ও নদীভাঙন এলাকায় বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ (তৃতীয় পর্যায়) প্রকল্প।

    জেলা ত্রাণ গুদাম কাম দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তথ্য কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পে ব্যয় হবে ১২৭ কোটি ৪১ লাখ টাকা।

    চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর উপজেলায় মহানন্দা নদী ড্রেজিং ও রাবার ড্যাম প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫৯ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। এক হাজার ২৯০ কোটি টাকার বৃহত্তর চট্টগ্রাম গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প-৩।

    বৃহত্তর ফরিদপুর চরাঞ্চল এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় গবাদিপশুর জাত উন্নয়ন ও দুগ্ধের বহুমুখী ব্যবহার নিশ্চিতকরণ কারখানা স্থাপন প্রকল্পে ব্যয় হবে ৩৪৪ কোটি ১৯ লাখ টাকা। আবার অগ্রাধিকারমূলক গ্রামীণ পানি সরবারাহ প্রকল্পটিতে ব্যয় হবে ৮৭৪ কোটি ১৭ লাখ টাকা।

    নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু নির্মাণ (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্পটিতে ৫৯৯ কোটি ২৮ লাখ টাকা ব্যয় হবে।

    বগুড়া উপজেলার সাথে সংযুক্ত চাপাপুরা-বগুড়া, নিমসার-বরুড়া এবং খাজুরিয়া-বরুড়া জেলা মহাসড়ক তিনটি যথাযথ মানে ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্পে ১৫৭ কোটি ৮৭ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। অন্যদিকে সাতটি র‌্যাব কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৯৯ কোটি আট লাখ টাকা।

    এদিকে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তিপক্ষের বহুতল অফিস ভবন নির্মাণ প্রকল্পে ব্যয় হবে ১১২ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রোডিয়েন্ট (এপিআই) শিল্প পার্ক প্রকল্পে ব্যয় হবে ৩৮১ কোটি টাকা। আর ঘূর্ণিঝড় পুনরুদ্ধার ও পুনর্বাসন প্রকল্পে ব্যয় হবে ১ হাজার ৬১৮ কোটি ১০ লাখ টাকা।

    এছাড়া এমারজেন্সি ২০০৭ ঘূর্ণিঝড় পুনরুদ্ধার ও পুনর্বাসন এবং প্রজেক্ট করডিনেশন এন্ড মনিটরিং ইউনিট প্রকল্পে (তৃতীয় সংশোধিত) ৬৩ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।

    এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা সচিব জিয়াউল ইসলাম, সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ড. শামসুল আলম প্রমুখ।

     

     

     

    আরটিএনএন



সর্বশেষ খবর


নিউজ খুঁজুন
আর্কাইভ
ফেইসবুক পেইজ