বিস্তারিত
  • বিশ্বনাথে বাস খাদে পড়ে আহত ৩০


    বিশ্বনাথ বিডি ২৪ || 28 September, 2019, 7:29 PM || বিশ্বনাথ


    বিশ্বনাথ বিডি ২৪ :: বিশ্বনাথে যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রন হারিয়ে সড়কের পার্শ্বের জমিতে পড়ে গিয়ে অনন্ত শিশু-নারীসহ ২৫জন আহত হয়েছেন। (২৮ সেপ্টেবর) শনিবার বেলা আড়াইটার দিকে বিশ্বনাথ-রামপাশা সড়কের দশদল নামক স্থানে এঘটনা ঘটে। সড়ক দূর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে বিশ্বনাথ উপজেলার পাশাপাশি ছাতক, বিশ্বম্ভরপুর, ওসমানীনগর, জগন্নাথপুর উপজেলার মানুষও রয়েছে। গুরুত্বর আহতরা হলেন- রাসেল আহমদ (৩), মকদ্দুছ মিয়া (৫২), ইমামুল হক (৫৫), মাজহার উদ্দিন (২৭), কল্যান দাশ (৫৪), মকবুল আলী (৩৬), ইয়াসমিন বেগম (৩৭), মাহিয়া বেগম (১৪), জাকির হোসেন (২৪), এনামুল হক (২৬), হোসাইন আহমদ (১৯), হেলাল উদ্দিন (৩৮), তাসলিমা বেগম (২০)’র অবস্থা গুরুত্বর বলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে প্রেরণ করা হয়। এরমধ্যে গুরুত্বর আহত ১২ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত ডাক্তাররা। আহতদের মধ্যে শিশু ইয়াহ্ইয়া ও বৃদ্ধা নারী মনোয়ারা বেগমের শরীরের বিভিন্ন অংশ পুড়ে গেছে। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।

    এদিকে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এ্যাম্বুল্যান্স না পেয়ে হাসপাতালে আসা আহত রোগীর স্বজনদের সঙ্গে দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এসময় ডাক্তার ও রোগীরদের স্বজনদের মধ্যে হাতা-হাতির ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ২০ মিনিট চিকিৎসা বন্ধ ছিল। পরে খবর পেয়ে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার পর ফের চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু হয়। এরপর গুরুত্বর আহতদের ফায়ার সার্ভিসের এ্যাম্বুল্যান্সে করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

    স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বনাথ সদরের দিকে লামাকাজী থেকে ছেড়ে আসা অনটেস্ট সিএনজি ঘটনাস্থলে আসার পর হঠাৎ করেই সিলেট থেকে ছেড়ে আসা বিশ্বনাথের টুকেরবাজারগামী বাসের সামনে চলে আসে। ফলে যাত্রীবাহী নাম্বার বিহীন সিএনজিকে (আরিয়ান এন্ড মাহদি পরিবহন-৫) রক্ষা করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে দুমড়ে-মুছড়ে বিশ্বনাথ-রামপাশা সড়কের পাশ্বের জমিতে পড়ে যায়। এতে যাত্রীবাহী বাস (সিলেট-জ ০৪-০২০৭) উল্টে সড়কের পার্শ্বের জমিতে পড়ে ৩ বছরের শিশু ইয়াহ্ইয়া ও একাধিক নারীসহ প্রায় ৩০ জন আহত হন। এরপর পুলিশ ও স্থানীয় জনতা আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সরকারি এ্যাম্বুলেন্স থাকার পর ড্রাইভার না থাকার গুরুত্ব আহতদেরকে প্রথমে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীরা নিজেদের ব্যক্তিগত গাড়িতে ও পরবর্তীতে ফায়ার সার্ভিসের এ্যাম্বুলেন্সে করে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

    উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগী ও তাদের আত্নীয়-স্বজনরা অভিযোগ করেন, গুরুতর আহতদেরকে সিলেটে নিতে এ্যাম্বুলেন্স চাইলে তারা তা দেয়নি। বাইরে থেকে আনানোর জন্য বলা বলে আমাদের (রোগী) কাছে তারা (কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ) অতিরিক্ত টাকা দাবী করেন। এরপর মানুষের সাথে খারাপ আচরণ শুরু করে এক পর্যায়ে ২০ মিনিটের মতো চিকিৎসা সেবা প্রদান বন্ধ করে দেন তারা।

    এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচও) ডা. আবদুর রহমানবলেন, হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্সের চালক গুরুত্বর অসুস্থ রয়েছেন। তাই হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্স বন্ধ রয়েছে। এসময় কর্তব্যরত চিকিৎসকে লাঞ্চিত করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

    সড়ক দুর্ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বিশ্বনাথ থানার ওসি (তদন্ত) রমা প্রসাদ চক্রবর্তী বলেন, সড়ক দূর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ-সাংবাদিকরা মিলে স্থানীয় লোকজন ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজনের সহযোগীতায় গুরুত্বর আহতদেরকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে এবং বাকি আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে।



সর্বশেষ খবর


নিউজ খুঁজুন
আর্কাইভ
ফেইসবুক পেইজ