স্টাফ রিপোর্টার || 11 January, 2018, 10:50 PM || বিশ্বনাথ, সিলেট
বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও তা’লীমিয়া ঢাকার প্রিন্সিপাল, প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন হযরত মাওলানা হাফীজুর রহমান সিদ্দিকীর কুয়াকাটা’র বয়ান দিয়ে সন্তুষ্ঠ করতে পারেননি বিশ্বনাথের মুসল্লীদের। তিনি বুধবার রাতে (১০জানুয়ারী) মরহুম মাওলানা আব্দুল হাই (রহ.) প্রতিষ্ঠিত জামেয়া মদীনাতুল উলূম মাদ্রাসা শিমুলতলার বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে এসেছিলেন বয়ান করতে। তাঁর বয়ান শুনতে সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলাসহ সিলেটের বিভিন্ন উপজেলা, থানা থেকে ছুটে আসেন কয়েক হাজার মুসল্লী। রাত প্রায় ১১ টায় বয়ান শুরু করেন মাওলানা হাফীজুর রহমান সিদ্দিকীর কুয়াকাটা। সোয়া ১ ঘন্টার বয়ান মনযোগ সহকারে নিরবে শুনতে থাকেন মুসল্লীরা। পরে মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ করেন বয়ান। অল্প সময় বয়ান করায় মাওলানা হাফীজুর রহমান সিদ্দিকীর উপর অনেক মুসল্লী অসন্তুষ্ঠ। অনেকে বলেছেন, হুজুরের বয়ান সারা রাত হলে আমরা শুনতাম, তাঁর কথা আমল করতাম। এতে তারা অসন্তুষ্ঠ। বেশ কয়েকজন মুসল্লী জানান, একজন বিজ্ঞ আলেম যে আলেমের জন্য হাজার হাজার ভক্ত ছুটে আসলেন ওয়াজ মাহফিলে সেই মাহফিল কম পক্ষে ৩ ঘন্টা চললে ভালই লাগত। মাওলানা হাফীজুর রহমান সিদ্দিকীর কুয়াকাটা হুজুরকে ভবিষৎতে বিশ্বনাথের ওয়াজ মাহফিলে ৩ ঘন্টা বয়ান রাখার আহবান জানান তারা।
মাওলানা হাফীজুর রহমান সিদ্দিকী কুয়াকাটার বয়ানে বলেছেন, কোরআন পড়লে মানুষের সম্মান কমে না বরং বাড়ে। কোরআন ও নবীর হাদিস পড়লে একজন আদর্শ মানুষ হওয়া যায়। গুনাহের কাজ ছেড়ে প্রত্যেক মুসলমান নর-নারীকে নেকের কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, দেশের জন্য য়ড়যন্ত্র বন্ধ করে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। এছাড়া নবী ও রাসুলের অনেক গুণ ও আদর্শের কথা বলেন তিনি।
জামেয়া তাওয়াক্কুলিয়া রেঙ্গা’র শায়খুল হাদিস আল্লামা শিহাবুদ্দীন ও শায়খ নূরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে ওয়াজ মাহফিলে বিশেষ অতিথির বয়ান করেন দারুল উলূম কানাইঘাটের মুহাদ্দিস হযরত মাওলানা হারুনূর রশীদ, মাওলানা আব্দুল খালিক, মাওলানা রেদওয়ানুল হক, মাওলানা ফজলুর রহমান খান, মাওলানা ফয়জুর রহমান, মাওলানা মনজুর রশীদ আমিনী বরুনী, মাওলানা কামরুল ইসলাম ছমির, মুফতি মাওলানা লুকমান খাঁন