বিস্তারিত
  • শিক্ষার স্বীকৃত উদ্দেশ্যটা হোক ভোগবাদী মানুষ নয়, মনুষ্যত্ববাদী মানুষ সৃষ্টি করা


    বিশ্বনাথ বিডি ২৪ || 31 May, 2018, 5:43 PM || মুক্তমত


    অামাদের দেশে শিক্ষার স্বীকৃত উদ্দেশ্যটা কি? এ প্রশ্নের জবাবে নানান কথা বলা যায়, এবং বলা হয়, কিন্তূ মূল উদ্দেশ্যটা যে মুনাফা-সংক্ষিপ্ত লেখাতে সেই সত্য কথাটা বেরিয়ে অাসবেনা। যদি লোক কথায় সেটা বহুকাল ধরে স্বীকৃত অাছে। লোক কথায় পরিষ্কারভাবেই বলা অাছে যে লেখা পড়া করে যে গাড়ি ঘোড়া চড়ে সে। অর্থাৎ অামি লেখা পড়া শিখবো, কারণ না-শিখলে অামার গাড়িঘোড়ায় চড়া হবে না। গাড়ীতে নিজে চড়ে অন্যদেরকে চাকার তলায় চেপে মারবো, এই কথাটা অবশ্য বলা হয় না, তবে সেটা না বললে চলে, কেননা কে না জানে যে কান টানলে মাথাও অাসবে। অর্থাৎ লোভ লালসা মুনাফা লাভের চিন্তায় যে শিক্ষা এই শিক্ষায় একজনই যদি শুধু ওঠে, তবে নয়জন অবশ্যই নামবে। পুজি মুনাফা লোভ -লালসা স্বার্থবাদীতা যে শিক্ষায় জড়িত সেই শিক্ষায় জ্ঞান ও বুদ্ধি মত্তার চর্চা করে মনুষ্যত্ব অর্জের পথ একবারে ক্ষীন। জ্ঞান বিজ্ঞানের মুক্ত বুদ্ধির মুক্ত চিন্তার মনন ও মনীষার প্রকৃত চর্চা যেমন ব্রিটিশ শাসকেরা চায়নি, পাকিস্তানী শাসকেরা চায়নি, কারণ জ্ঞানকে তার খুবই ভয় করে।তাদের অাশংকা ছিল জ্ঞানের চর্চা হলে লোকে তাদের কে চিনে ফেলবে, মানবে না, এবং বিদ্যমান ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলতে চাইবে। তাই তৎসময়ে সেই শাসকগোষ্টি এহেন অাচরন করেছে। সুতরাং বর্তমান প্রেক্ষাপটে যেহেতু মুক্তি যুদ্ধের চেতনার সরকার, গনতান্ত্রানিক সরকার শেখ হাসিনার সরকার তাই এই সরকারের কাছে জাতি একটি একমুখি শিক্ষা ব্যবস্থা চাইবে যা সময়ের দাবী। বর্তমানে পরীক্ষা পদ্ধতি নিয়েও নানা রকমের উল্টাপাল্টা কাজ কর্ম চলছে।এমসিকিউ অানা হয়েছিল। এখন বলা হচ্ছে ওটা ভালো না। প্রশ্ন ফাঁসে সুবিধা করে দেয়া হয়, মোবাইলে প্রশ্নের উত্তর সরবরাহতেও ভারি সুবিধা ঘটে। ওটা বাদ যাক। তবে সৃজনশীল থাকছে। সৃজনশীল প্রশ্নেন ব্যাপারটা সম্পর্ণ ভ্রান্ত। প্রশ্ন নয় উত্তর যাতে সৃজনশীল হয় চোখ রাখা উচিত ছিল সেদিকে। অথচ করা হয়েছে ঠিক উল্টোটা। প্রশ্ন নিজেই সৃজনশীল হয়ে গেছে। তবে এই সৃজনশীল জিনিসটা যে কি সেটা ছাত্র বোঝে না, অভিভাবক বোঝে না, বোঝে না শিক্ষকও। শিক্ষকের না বোঝার ব্যাপারটা রীতিমত ভয়াবহ। অাজ অামার ভাগনি কে সৃজনশীল বলতে কি বোঝায় জিজ্ঞেস করলে উত্তরে বলে যে, নিজে উত্তর সৃষ্টি করার নাম সৃজনশীল শিক্ষা পদ্ধতি। তাহলে অামার মনে প্রশ্ন জাগে বর্তমানে অধিকাংশ শিক্ষকরা প্রশ্নের জন্য তারা ছোটেন গাইড বইয়ের কাছে। ফলে শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক গন্তব্য অভিন্ন হয়ে পড়েছে। দু’হাতে মুনাফা করছে গাইড-বইয়ের ব্যবসায়ীরা। কোচিং বানিজ্য তো অাছেই। যতো বেশী পরীক্ষা ততো বেশি কোচিং বানিজ্য। সব কিছু ঘটছে মুনাফার লাভের অাশায়। সুতরাং এই ব্যবস্থার উত্তরন প্রয়োজন। অার তা করার দায়িত্ব মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী মহোদয়ের।

    লেখক: সিতার মিয়া, (রাজনীতিবিদ)



সর্বশেষ খবর


নিউজ খুঁজুন
আর্কাইভ
ফেইসবুক পেইজ