বিস্তারিত
  • বিশ্বনাথে লুবনা খুন : ঘাতক স্বামী পলাতক


    স্টাফ রিপোর্টার || 25 January, 2018, 8:28 PM || বিশ্বনাথ


    বিশ্বনাথ বিডি ২৪ :: বিশ্বনাথে হেলাল মিয়া নামের এক স্বামীর হাতে দুই সন্তানের জননী খুন হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ২৫ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্বনাথ সদর ইউনিয়নের জানাইয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম লুবনা বেগম। তিনি দুই সন্তানের জননী।
    এ ব্যাপারে থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ দুলাল আকন্দ জানান, স্বামীর হাতে জীবনসঙ্গী খুন হয়েছেন। নিহতের লাশ বর্তমানে ওসমানী হাসপাতালে রয়েছে। তিনি বলেন, কেন কি কারণে স্বামী তার জীবনসঙ্গীকে খুন করেছেন বিষয়টি পুলিশ গুরুত্বে সাথে দেখছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে জানাইয়া গ্রামের হেলাল মিয়া তার জীবনসঙ্গী লুবনাকে চাকু দিয়ে খুন করেন বলে আমরা শুনেছি।
    জানাগেছে, চাচার বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে এসে ডেগার দিয়ে গলা কেটে স্ত্রীকে হত্যা বিশ্বনাথ উপজেলার সদর ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক আহবায়ক হেলাল মিয়া। উপজেলার জানাইয়া গ্রামস্থ চাচার বাড়ির গোলায় ঘরে বৃহস্পতিবার বিকেল স্ত্রীর গলা কাটার পর ডেগার হাতে নিয়ে পালিয়ে যায় ঘাতক স্বামী হেলাল। এরপর হেলালের আতœীয়-স্বজনরা আহত অবস্থায় আহত দুই সন্তানের জননী লুবনা বেগমকে চিকিৎসার জন্য ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে যান।
    জানাগেছে, দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে নিজের পৈত্রিক বাড়ির পরিবর্তে কখনও মামার বাড়ি কখনও শ্বশুর বাড়ি ও কখনও অন্যান্য আতœীয়-স্বজনদের বাড়িতে বসবাস করে আসছেন হেলাল মিয়া। বৃহস্পতিবার হেলাল মিয়া দুপুরে নিজের পৈত্রিক বাড়িতে আসেন। এরপর চাচাত ভাইয়ের ঘরে বসে স্ত্রীকে ফোন করে আসতে বলেন। স্বামীর ফোন পেয়ে মা-ভাইকে সাথে নিয়ে হেলালের চাচাত ভাইয়ের বাড়িতে আসেন লুবনা বেগম। এসময় লুবনার ভাই রাসেলের সাথে নিজের পুত্র আল-আমিনকে সাথে দিয়ে সিগারেট আনার জন্য বাজারে পাঠায় হেলাল। আর অন্যান্য সময়ের মতো স্ত্রীকে ডেকে নিয়ে চাচাত ভাইয়ের গোয়াল ঘরে যান হেলাল। আর পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী সেখানে হাত বেঁধে লুবনার গলা কেটে ডেগার হাতে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান যুবদল নেতা হেলাল মিয়া।
    এলাকাবাসী ডেগার হাতে হেলালের পালিয়ে যাওয়া দেখে পেছন থেকে ডাকলেও কোন সাড়া দেয়নি সে। দীর্ঘ সময়ে হেলাল-লুবনা চাচাত ভাইয়ের গোয়াল ঘর থেকে বসত ঘরে ফিরে না আসায় তাদেরকে ডাকতে যান হেলালের আতœীয়রা। সেখানে গিয়ে তারা দেখতে পান গলা কাটা অবস্থায় লুবনার দেহ পড়ে আছে। আর সেখানে হেলাল নেই। এরপর হেলালের আতœীয়-স্বজনরা লুবনাকে নিয়ে হাসপাতালে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
    উল্লেখ্য, প্রায় ১০ বছর পূর্বে উপজেলার সদর ইউনিয়নের জানাইয়া গ্রামের মরহুম জহুর আলীর পুত্র হেলাল মিয়ার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন দেওকলস ইউনিয়নের কাদিপুর গ্রামের মৃত: ওয়াহিদ আলীর মেয়ে লুবনা বেগম। হেলাল-লুবনার দাম্পত্য জীবনে আল-আমিন নামের ৯ বছরের এক পুত্র সন্তান ও নাজিফা বেগম নামের সাড়ে ৩ বছরের এক কন্যা সন্তান রয়েছে।
    বিষয়টি নিশ্চিত করে থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ দুলাল আকন্দ জানান, এব্যাপারে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।



সর্বশেষ খবর


নিউজ খুঁজুন
আর্কাইভ
ফেইসবুক পেইজ