বিস্তারিত
  • বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামী লীগে সাবেক নেতাদের অবমূল্যায়ন…


    স্টাফ রিপোর্টার || 22 January, 2018, 8:24 PM || বিশ্বনাথ


    বিশ্বনাথ বিডি ২৪ :: আমি তপন দাশ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বিশ্বনাথ উপজেলা শাখার একজন সক্রিয় কর্মী। আমি প্রথমে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। স্মরণ করি জাতীয় চার নেতাকে। স্মরণ করি সিলেটবাসীর গর্ব জাতীয় নেতা মরহুম দেওয়ান ফরিদ গাজী, আব্দুস সামাদ আজাদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, হুমায়ুন রশিদ চৌধুরী, ইনামুল হক চৌধুরী (বীরপ্রতীক), আব্দুর রহিম অ্যাডভোকেট, ইফতেখার হোসেন শামীম, আব্দুল খালিক, মনু মিয়া, বজলুর রশিদ, ইসকন্দর আলী, কাপ্তান মিয়া, আসলম খাঁ, তজম্মুল আলী, জীবিত না মৃত বাবু বিশ্বেশ্বর রায় ভানু বাবু, আফছর মিয়া, বাবুল আকতার ও ফজলু মিয়াকে।

    আমি শ্রদ্ধা জানাই ও স্যালুট করি আমার নেতা, সিলেটের কোটি মানুষরে আশা আকাঙ্খা ও ভরসার স্থল জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পর পর ৩ বারের সফল সাংগঠনিক সম্পাদক জননেতা অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজকে যিনি আমাকে দলের গুরুত্বর্পূণ পদে রাখার চিন্তা ভাবনা করেছিলেন এবং বলেছিলেন জেলার একজন দাযিত্বশীল নেতাকে। কিন্তু কিছু ব্যক্তির অপতৎপরতায় ও তাদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য ও তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের অসৎ উদ্দেশ্যে এবং তাদের স্বার্থ হাসিলের লক্ষ্যে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের নীলনকশায় লিপ্ত হয় এবং আমাকে কমিটি ও সংগঠন থেকে মাইনাস করার চক্রান্ত করে।
    ১৩/০১/২০১৮ইং রোজ শনিবার রাত ৮ টার সময় কমিটি অনুমোদন হওয়ার পর সিলেট সার্কিট হাউজে মরহুম দেওয়ান ফরিদ গাজীর সুযোগ্য কন্যা সিলেট সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর রুবা গাজী, আমার নেতা মিসবাহ উদ্দিন সিরাজকে বলেছিলেন মিসবাহ ভাই আমার দাদার খবর কি? প্রতি উত্তরে মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ বলেন, তার নাম আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটিতে নেই। আমি তার নাম সদস্যে রাখার জন্য বলেছি। আমার ওয়ার্ডের প্রাণপ্রিয় জনগণ ও বিশ্বনাথের জনগন জানতে চান? কোন যোগ্যতা না থাকার কারণে আমাকে দলের সম্পাদক মন্ডলীর সিনিয়র সদস্য করা হয় নাই।
    তৃনমূলের কর্মীরা জানতে চান কি কি যোগ্যতা থাকলে দলছুট, কালো টাকার মালিক, বসন্তের কোকিল, মৌসুমী অতিথি পাখি ও তোষামোদকারীরা দলে স্থান পায়। ১৯৮৫ সাল হইতে ২০০৪ সাল ১৯ বছর ছাত্রলীগ করেছি। ২০০৪ সাল হইতে ২০১৫ ইং ৮ জুন ১১ বছর ৬ মাস আওয়ামী লীগের সহ-দপ্তর হয়ে দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি। ১৯৮৬-৮৭ বিভক্ত ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, ঐক্যবদ্ধ ছাত্রলীগের যুগ্ম-আহবায়ক, সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলাম। ১৯৯০ সালের ৬ডিসেম্বর এরশাদের পতন হয়। আর ১৯৯০ সালের ১৫ই আগষ্ট এরশাদ সরকারের পতনের আগে বিশ্বনাথে পুলিশ, বিডিআর, আর্মি বিশ্বনাথ বাজারে অবস্থান করে। সেই ভয়াবহ পরিস্থিতির মাঝেও বিশ্বনাথ উপজেলা ছাত্রলীগ আমার সভাপতিত্বে একমাত্র ছাত্রলীগই জীবন বাজি রেখে উপজেলায় ১৫ই আগষ্ট উপলক্ষ্যে শোক সভার আয়োজন করে।
    বিশ্বনাথ কলেজের বিধান হত্যা মামলা ও উত্তরপার জামাত-শিবিরের হামলা, মামলায় আমাকে চার্জশীটভূক্ত আসামী করা হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে সিরাজ কাম টু অ্যাডভোকেটও সাবেক ছাত্রনেতা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক তার সংগঠনের কর্মী ও সংগঠনের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তাকে দেওয়া হয় আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক। আর সাধারণ সম্পাদক সিরাজকে করা হয় শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক। এটা সে কি করে মানবে। ২নং খাজাঞ্চি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ-ছাত্রলীগ উপজেলা আওয়ামী লীগের সকল কার্যক্রম বিরত থাকার ঘোষণা দিয়েছে। খাজাঞ্চীসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

    যুক্তরাজ্য প্রবাসী মেয়র প্রার্থী আকদ্দুস আলীকে সহ-সভাপতির দায়িত্ব দেয়া হয়। সৌদি আরব প্রবাসী নুরুল ইসলামকে (কোষাধ্যক্ষ) অর্থ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। আব্দুল বাহার আনা মিয়াকে যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক ও স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক পদে নির্বাচিত করা হয় প্রভাষক জহিরকে। যাদেরকে কোনদিন বিশ্বনাথ আওয়ামী লীগের আন্দোলন সংগ্রামে কেউ দেখেনি। এদেরকে এই দায়িত্ব না দিলে তারা কি অখুশী হতেন? না কি বিদ্রোহ করতেন, না কি তারা আওয়ামী লীগে থাকতেন না। আজকে হাজী আকদ্দুস আলী লন্ডন প্রবাসী হয়ে যদি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হতে পারেন তাহলে অন্য যুক্তরাজ্য প্রবাসী ছাত্রলীগের দূর্দিনের সহযোদ্ধা বিশ্বনাথ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আশিকুর রহমান, কলিম আলী খসরু, সাবেক আহবায়ক এমদাদুর রহমান এমদাদ, যুগ্ম-আহবায়ক শাহ তোফায়েল, শামসুর রহমান রাহিন, ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আসাদুর রহমান, সহ-সভাপতি সফিকুর রহমান সফিক, যুবলীগ সভাপতি ময়নুল হোসেন আঙ্গুর, সাবেক ছাত্রনেতা সিতাব আলী, সায়েক আহমদ, এম. ইকবাল হোসেন, হোসেন আহমদ, সাদিক আহমদ, মোস্তাফিজুর রহমান সেলিম, মিজানুর রহমান (ফ্রান্স) তাদের স্থান কেন বিশ্বনাথ আওয়ামীলীগে হল না?
    ১লা আগষ্ট ২০১৭ইং দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশতি ২০মে ২০১৭ইং গনভবনে আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় গনমানুষের নেত্রী বাংলাদেশের সফল প্রধানমন্ত্রী জননত্রেী শেখ হাসিনা বলেছেন, “অনুপ্রবেশকারীরা দলে ঢুকে এরা এত বেশী শক্তিশালী হয়ে যান যে তাদের কুনুয়ের গুঁতায় আমার দলের নিবেদিতরা ঠিকতে পারে না।” আমিও সেই কুনুয়ের গুঁতায় পড়ে গেলাম। ইতিহাস স্বাক্ষী দেয়, ওয়ান টাইম নেতারা বেশিদিন টিকেনা। গাড়ীতে করে ব্যানার, ফেষ্টুন, শ’খানেক উপহার সামগ্রী বিতরণ, আর ২/১ পত্রিকার ভাড়া করা রিপোর্টার নিয়ে কাটপিস, সটপিস নিউজ করে স্থায়ী নেতা হওয়া যায় না। ভাল নেতা হতে হলে গুণ থাকতে হয়। মানুষকে ভালবাসতে হয়, ত্যাগী নেতাকর্মীর কর্মের মূল্যায়ন করতে হয়। আত্মীয়করণ, পরিবারতন্ত্র, স্বজনপ্রীতি, ক্ষমতার অপব্যবহারকারী, চোখ থাকতে যারা অন্ধ, কান থাকতে যারা বধির তাদের বিরুদ্ধে তৃণমুলের কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ।
    উন্নয়নের মহাসড়কে সারাদেশে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উন্নয়নের ছোয়া লাগলেও স্বাধীনতার ৪৮ বছর পরও বিশ্বনাথে পৌরসভা হয়নি, কবে হবে তাও বিশ্বনাথ বাসি জানে না। গ্যাস নাই, ফায়ার সার্ভিস নাই, সদর ইউনিয়ন কমপ্লেক্স নাই, উপজেলা অডিটোরিয়াম নাই, রশিদপুর গোলচত্তর নাই, ছোট মাঝারি কোন শিল্প কারখানা নাই।
    উপজেলা হেডকোর্য়াটারে অনেক ছোট বড় রাস্তা পাকাকরণ হয় নাই। বিনোদন পার্ক নাই। আর আমি নেতা। আমি এমপি হব। আমি মন্ত্রী হব। আমি মিনিস্টার হব। জননেতা ছয়ফুল হক চেয়ারম্যান বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশন এর সদস্য বিশিষ্ট ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব কবির হোসেন কুব্বার ও ছাত্র নেতা সিরাজুল ইসলাম সিরাজসহ আরো অনেকে অব্যাহতির প্রস্তুতি নিয়ে বসে আছে। তাদের এই অব্যাহতির দায়ভার কে নেবে। নিয়ন্ত্রনহীন আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ করে আগামীতে নৌকার বিজয় ধরে রাখতে অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, আহমেদ হোসেন, মাহবুবুল হক হানিফসহ জেলা ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদেরের নিকট আমাদের আবেদন দল বাচাঁন, আমাদের বাচাঁন, নোংরা রাজনীতি বন্ধ করুণ।



সর্বশেষ খবর


নিউজ খুঁজুন
আর্কাইভ
ফেইসবুক পেইজ