বিস্তারিত
  • বিশ্বনাথে দুধের কিসমত


    বিশ্বনাথ বিডি ২৪ || 28 August, 2018, 6:55 PM || বিশ্বনাথ


    তজম্মুল আলী রাজু :: বিশ্বনাথে গাভীর দুধের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। দুধের সংকট থাকায় চাহিদা অনুযায়ী দুধ পাচ্ছেন না অনেকেই। উপজেলা শহরে কিছু দোকানে গাভীর দুধ পাওয়া গেলেও চাহিদার তুলনায় অপ্রতুল। ফলে অনেক পরিবারের লোকজন দুধ খাওয়া থেকে বঞ্চিত রয়েছেন।
    ৮টি ইউনিয়ন ও ৪৩৬ টি গ্রাম নিয়ে গঠিত প্রবাসী অধুষ্যিত বিশ্বনাথ উপজেলা। অই উপজেলায় হাতে গোনা কয়েকটি ডেইরী ফার্ম রয়েছে। যে ফার্মগুলো মানুষের চাহিদা মেটাতে পারছেনা। উপজেলা শহরের একটি দোকানে গাভীর দুধ পাওয়া গেলেও নিদিষ্ট ক্রেতা ছাড়া অন্য ক্রেতারা দুধ ক্রয় করতে পারেননি। এমন অবস্থা হচ্ছে দুধ সংকটের কারণে।
    উপজেলায় দুধের চাহিদা মেটাতে নিজের বাড়িতে ডেইরী ফার্ম করেছেন জানাইয়া গ্রামের তরুণ উদ্যোক্তা আকবর হোসেন কিসমত। তিনি বিশ্বনাথ নতুনবাজারের একজন ব্যবসায়ী। প্রথমে তিনি একটি গাভী ক্রয় করেন। একটি গাভীর দুধ থেকে চলত তার পরিবার। অই গাভীর দুধে পরিবারের যোগান দিয়েও ৭/৮ লিটার দুধ বিক্রি করতে পারতেন তিনি। এতে তার দুধ খাওয়ার পরেও কিছু দুধ বিক্রি করে প্রতিদিন আয় হত কমপক্ষে ২৫০-৩০০ টাকা। আয় হওয়ায় ধীরে ধীরে তিনি গাভীর সংখ্যা বাড়াতে থাকেন। বর্তমানে তার খামারে ২০ গাভী রয়েছে। অই গাভী গুলো থেকে প্রতিদিন প্রায় ২০০ লিটার দুধ বিক্রি করেন। এতে তার খামার থেকে প্রতিমাসে সব খছর বাদে আয় হয় ৪৫-৫০ হাজার টাকা। আকবর হোসেন কিসমত পরিচালিত আল-হোসাইন ডেইরী ফার্মে বর্তমানে তিনজন শ্রমিক নিয়মিতভাবে কাজ করছেন। তিন শ্রমিকের কর্মসংস্থান হওয়ায় খুশি শ্রমিকেরা। তারা বলেন, আমরা অই খামারে কাজ করে আমাদের পরিবার চলছে ভালভাবে।
    সরেজমিনে আল-হোসাইন ডেইরী ফার্মে গিয়ে দেখা গেছে, আধুনিক প্রদ্ধতিতে করা গাভী রাখার ঘর। প্রথক প্রথক স্থানে রাখা হয়েছে ঘাসসহ গরুর খাবার। তিনজন শ্রমিক কাজ করছেন গুছালোভাবে। খামারের পাশেই রয়েছে শ্রমিকদের থাকার ঘর। সেই ঘরে গুছালোভাবে রাখা হয়েছে গুখাদ্য। শ্রমিকদের দেখার জন্য রাখা হয়েছে টেলিভিশন।
    আকবর হোসেন কিসমত জানান, বিশ্বনাথে দুধের চাহিদা বেশী থাকায় খামার বড় করেছেন। প্রতিদিন ২০০ লিটার দুধ বিক্রি করে ভাল আয় করছেন। তিনি বলেন, অই খামার আরো বড় করে দুধের চাহিদা মেটাতে তার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।



সর্বশেষ খবর


নিউজ খুঁজুন
আর্কাইভ
ফেইসবুক পেইজ