বিস্তারিত
  • যুক্তরাজ্য বিএনপির সংবাদ সম্মেলন


    বিশ্বনাথ বিডি ২৪ || 09 February, 2018, 5:37 PM || প্রবাস


    বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের মামলাকে সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রমূলক আখ্যায়িত করে জরুরী সংবাদ সম্মেলন করেছেন যুক্তরাজ্য বিএনপি। বৃহস্পতিবার পূর্ব লন্ডনের মাইল্যান্ডে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি এম এ মালেক ও সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমদ।
    সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, আধিপত্যবাদের দেশীয় দালাল এবং সম্প্রসারণবাদের ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রের মূল টার্গেট জাতীয়তাবাদী ও ধর্মীয় মূল্যবোধে বিশ্বাসী জনশক্তির আস্থা ও ভরসার প্রতীক বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া এবং জাতীয়তাবাদের এ সময়ের অগ্রপথিক সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমান।
    বিএনপি চেয়ারপার্সন, সাবেক তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপি’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক, জাল জালিয়াতির মাধ্যমে দায়ের করা কথিত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলার ঘোষিত রায় অবৈধ, শেখ হাসিনা ও তার পরিবার এবং আওয়ামী লুটেরাদের ব্যাংক ডাকাতি ও দুর্নীতি আড়াল করার এক ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র।

    তারা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রতিহিংসামূলক উল্লেখ করে এই রায়কে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেন। তারা বলেন, শেখ হাসিনার তাবেদার আজ্ঞাবহ আদালতের এই রায় গণতন্ত্র ধ্বংস করার রায়। এই রায় একদলীয় বাকশালী আওয়ামী লীগের ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করার রায়। তারা বলেন, আদালতে বেগম খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা প্রমাণ করেছিলেন যে, তিনি এই মামলায় কোনভাবেই জড়িত নন এবং কোন টাকাই আত্মসাৎ করা হয়নি, কারণ এসব টাকা এখনো ব্যাংকের হিসাবেই জমা রয়েছে। বাংলাদেশে ন্যায়বিচার থাকলে আদালতে ম্যাডাম খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের উত্থাপিত যুক্তিতর্কে তিনি বেকসুর খালাশ পাওয়ার কথা । কিন্তু খালাশ দেয়ার পরিবর্তে সাজা দিয়ে জেলে প্রেরণ করা হয়েছে। এ রায় আমাদের কাছে সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত ও অনাকাঙ্খিত। দেশের আপামর জণসাধারণের মতো আমরাও মনে করি এই মামলা ছিল রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে করা এবং এই মামলার মাধ্যমে বেগম জিয়া এবং বিএনপিকে আগামী নির্বাচনের বাইরে রাখার অপচেষ্টা।

    সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, শেখ হাসিনার অবৈধ সরকার দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে অস্থিতিশীল করেছে এবং রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে আওয়ামী লীগ. যুবলীগ ও ছাত্রলীগের জঙ্গিদের দিয়ে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস করেছে। তারা কাপুরুষিচিত ও ন্যাক্কারজনকভাবে পেটোয়া কিছু পুলিশের সহায়তায় খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের ওপর হামলা চালিয়েছে। এই রায়ের মাধ্যমে বিচার ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা চলে গিয়েছে। বিচারব্যবস্থা ধ্বংস করার জন্য আদালতে দলীয় ক্যাডারদের আওয়ামী লীগ নিয়োগ দিয়েছে।

    তারা বলেন, ম্যাডাম খালেদা জিয়া একজন মুক্তিযুদ্ধা । তিনি বাংলাদেশের প্রথম প্রেসিডেন্ট এবং স্বাধীনতার ঘোষকের স্ত্রী, তিনি মুক্তিযুদ্বের সেক্টর কমান্ডারের স্ত্রী। তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের অতন্দ্র প্রহরী আমাদের গর্ব সেনাবাহিনী প্রধানের স্ত্রী। তার বিরুদ্বে এই হঠকারী রায় দেশের মানুষ মানে নাই।
    সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বিএনপি নেতৃবৃন্দ আরো অভিযোগ করেন, লগি বৈঠার হুকুমের আসামি ছিলেন শেখ হাসিনা। ৫৭ জন সেনা অফিসার হত্যা এবং অগণিত গুম খুনের দায় তিনি এড়াতে পারেন না। জনগণের ভোটে সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে ব্যাংক লুটপাট আর দুর্নীতি করে বিদেশে টাকা পাচারকারীদের বিচার হবে, লগি বৈঠা দিয়ে হত্যাকারীদের বিচার হবে, আমাদের গর্ব, জাতির গর্ব ৫৭ জন সেনা অফিসার হত্যার বিচার হবেই।



সর্বশেষ খবর


নিউজ খুঁজুন
আর্কাইভ
ফেইসবুক পেইজ