বিস্তারিত
  • জমে উঠেছে বিশ্বনাথের ঐতিহ্যবাহী পশুর হাট


    বিশ্বনাথ বিডি ২৪ || 12 June, 2024, 7:24 PM || বিশ্বনাথ


    তজম্মুল আলী রাজু:: ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিশ্বনাথের ঐহিতবাহী পুরানবাজার কুরবানির হাট জমে উঠেছে। পৌরশহরের পুরানবাজারে এই হাটে কুরবানির পশু আশানুরুভাবে কেনা-বেচা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বাজার পরিচালনা বোর্ডের কর্মকর্তারা। বাজারের ইজারাদার মো. শাহ আল-মামুন জানান, গরু বেপারী ও ক্রেতা বিক্রেতাদের নিরাপত্তা ও সুবিধার কথা মাথায় রেখে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আগামী রোববারও কুরবানির পশুর হাট চলবে এবং পশুতে মাঠ ভরে যাবে। আগের চেয়ে ক্রেতার উপস্থিতি অনেকাংশে বাড়বে আশা করছি। ক্রেতাদের চাহিদার কথা লক্ষ্য রেখে আগামী রোববার রাত ১২টা পর্যন্ত বাজার চলবে।

    জানা যায়, প্রতি বছর বিশ্বনাথ পুরানবাজারের এই হাটে আশেপাশের প্রায় ৮০-৯০টি গ্রাম থেকে স্থানীয় খামারি ও কৃষদের পালিত গরু-ছাগলের মহাসমারোহে মাঠ ভরে যায়। জমে উঠে কুরবানির ঈদের আমেজ। তাছাড়া বিশ্বনাথ থানার ৮টি ইউনিয়নের একমাত্র কুরবানির পশুর হাট হওয়ায় এখানে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়।
    ক্রেতা বিক্রেতার বাইরেও সব ধরনের লোকজনই আসেন বিশ্বনাথ পুরান বাজার হাটে। তারা ঘুরেফিরে দেখছেন কুরবানির গরু, খাসি, ছাগল ও ভেড়া। ঘুরেফিরে দেখে দেখেই তারা একে অপরের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করছেন।
    সরুয়ালা গ্রামের গরু বিক্রেতা জিলু মিয়া জানান, তিনি সবসময়ই বিশ্বনাথবাজারের কুরবানির পশুর হাটের অপেক্ষায় থাকেন। প্রতি বছর এই বাজারেই সাশ্রয়ী দামে সুস্থ পশু কেনেন ও বিক্রি করেন। এখানে বিভিন্ন এলাকা থেকে অনেক পশুর ক্রেতা আসেন।
    ক্রেতা হেলাল মিয়া জানান, এই গরু ছাগলের হাট বিশ্বনাথের ঐতিহ্যবাহী হাট। হাজার হাজার ক্রেতা বিক্রেতার ভিড়ে ঈদের আগেই ঈদের আনন্দটা অনেকাংশে বেড়ে যায়।

    পার্শ্ববর্তী ওসমানীনগর থানার দয়ামির গ্রামের বাচ্চু মিয়া জানান, প্রতিবছর বিশ্বনাথ বাজার থেকেই কুরবানির গরু কেনা হয়। এবারও আমি একটি গরু ক্রয় করেছি। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এখানে স্থানীয় কৃষকদের কাছ থেকে সুস্থ গরু পাওয়া যায়।

    ধোপাখলা গ্রামের আপ্তাব আলী জানান, বিশ্বনাথ বাজারে অনেক গরু বিক্রি করি। আমার আত্মীয়-স্বজনেরা এখান থেকে গরু ক্রয় করে। আমাদের পাশেই এই গরুর হাট। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় এই হাটের অপেক্ষায় থাকি। তাছাড়া আমাদের গ্রামের অনেকেই এই বাজারের স্থায়ী ব্যবসায়ী। সবদিক মিলিয়ে আমাদের ২০-৫০টা গ্রামের জন্য বিশ্বনাথ বাজার কুরবানির পশুর হাট খুবই গুরুত্ব বহন করছে।

    পশ্চিম শ্বাসরাম গ্রামের মনু মিয়া জানান, বিশ্বনাথ বাজার কুরবানির পশুর হাটে তুলনামূলক ভাবে একটু কম দামে গরু ক্রয়-বিক্রয় করা যায়। সবচেয়ে বড় সুবিধাটা হলো ধার্যকৃত হাসিলের চেয়ে অনেক কম নেন হাটের আয়োজকেরা। তাই প্রচুর ক্রেতার সমাগম ঘটে এই হাটে।

    স্থানীয় কাউন্সিলর জহুর আলী বলেন, আমার ৭ নং ওয়ার্ডের একমাত্র কুরবানির পশুর হাট বিশ্বনাথ বাজার। এই ঈদে ক্রেতা বিক্রেতাদের প্রত্যাশা পূরণে ভূমিকা রাখবে এটাই আশা করছি। আর সবার সাহায্য ও সহযোগিতা কামনা করছি।

    বিশ্বনাথ থানার এসআই মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, খুব সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে বিশ্বনাথ বাজার পরিচালিত হয়। এখানে মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা সার্বক্ষনিকভাবে নিয়োজিত রয়েছি।



সর্বশেষ খবর


নিউজ খুঁজুন
আর্কাইভ
ফেইসবুক পেইজ