বিশ্বনাথ বিডি ২৪ || 13 October, 2025, 7:38 PM || বিশ্বনাথ
বিশ্বনাথে গত ৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির আশন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক, সিলেট-২ (বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর) আসনের বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী ও বিশিষ্ট কুটনৈতিক ব্যক্তিত্ব হুমাযুন কবিরের উপর তাহসিনা রুশদির লুনার কিছু উচ্ছৃঙ্খল অনুসারী হামলার চেষ্টা করায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন, বিশ্বনাথের বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি ও বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
বিশ্বনাথের বিভিন্ন জনপ্রতিনিধি ও বিএনপির নেতৃবৃন্দ বিবৃতিতে বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও বিশিষ্ট কুটনৈতিক ব্যক্তিত্ব হুমায়ুন কবির সম্প্রতি সিলেট-২ (বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এরপর থেকে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী তাহসিনা রুশদির লুনার অনুসারীরা বিভিন্ন সোসিয়াল মিডিয়ায় হুমায়ুন কবির নিয়ে বিভিন্ন কটুক্তি, বিরুপ সমালোচনা ও নানান হুমকি দিয়ে আসছে। এতে তারা কান্ত হয়নি। হুমায়ুন কবিরকে কেন্দ্র করে তারা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়েও কটুক্তি করে যাচ্ছে। যা অত্যন্ত নিন্দনীয় ও ঘৃণিত কাজ। সুস্থ ধারার রাজনীতির জন্য যা কখনও কারও কাম্য নয়। গত ৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিশ্বনাথ উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের চরচন্ডী গ্রামে বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ও দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্বাস আলীর বাড়ীতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, আগামী দিনের রাষ্ট্র নায়ক দেশনায়ক তারেক রহমানের পক্ষ থেকে রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা কর্মসূচি প্রচার উপলক্ষে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিতে ঢাকা থেকে আসেন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-২ (বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর) আসনে বিএনপির সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশী হুমায়ুন কবির। পথিমধ্যে অনুষ্ঠানস্থলে যাওয়ার সময় ঐদিন (৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার) বিশ্বনাথে বাসিয়া সেতুর উপর ও স্থানীয় পুরাতন হাবড়া বাজারে বিএনপি নেত্রী তাহসিনা রুশদির লুনার নামে কিছু উচ্ছৃঙ্খল নেতা-কর্মী বিভিন্ন উত্তেজিত স্লোগান দিয়ে পরিকল্পিতভাবে হুমায়ুন কবিরের উপর হামলার উদ্দেশ্যে তাঁর গাড়ী বহর আটকে দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু বাসিয়া সেতুর উপর পুলিশ ও ফটো সাংবাদিকরা উপস্থিত থাকায় এবং পুরাতন হাবড়া বাজারে হুমায়ুন কবিরের পক্ষে শতশত নেতা-কর্মী অত্যন্দ্র প্রহরীর ন্যায় নিরাপত্তা বেষ্টনী সৃষ্টি করায় তাদের সকল পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়। সেদিন হুমাযুন কবির অনুষ্ঠান শেষে সিলেট ফেরার পথে বাসিয়া সেতুর উপর তাহসিনা রুশদির লুনার কিছু উচ্ছৃঙ্খল সমর্থকরা ওৎপেতে বসে থাকে। সেই সময় হুমাযুন কবির কবিরের গাড়ী বহর বিশ্বনাথ থানা অতিক্রম করছিল তখন বাসিয়া সেতুর দক্ষিণ পাশ থেকে সিলেট-২ (বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী তাহসিনা রুশদির লুনার পক্ষে তাঁর কিছু অনুসারী উত্তেজিতভাবে গালিগালাজ করে নানান স্লোগান করে হুমায়ুন কবিরের গাড়ী বহরের দিকে এগিয়ে আসতে চাইলে, স্থানীয় পথচারী ও হুমায়ুন কবিরের সমর্থক বিএনপির নেতা-কর্মী তাদেরকে ধাওয়া করে নতুন বাজারের দিকে নিয়ে যায়। এর কিছু পর তাহসিনা রুশদির অনুসারীরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মিছিল নিয়ে বাসিয়া সেতুর দক্ষিণ পারে আসলে স্থানীয় জনতা ও বিএনপির নেতাকর্মীরা আত্মরক্ষার জন্য তাদেরকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এরপর দুপুরে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এসময় যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর আলম, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সাজ্জাদ আলী শিপলুসহ আমাদের বেশ কয়েককজন নেতা-কর্মী আহত হন। দেশবাসী জানে আস্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বিএনপির ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে অসামান্য অবদান রাখায় বিশিষ্ট কুটনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক জননেতা হুমায়ুন কবিরকে সিলেট-২ (বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর) আসনে মাঠ পর্যায়ে কাজ করার জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও আগামী দিনের রাষ্ট্র নায়ক তারেক রহমানের নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু এ বিষয়টি বিএনপি নেত্রী তাহসিনা রুশদির লুনা সহজে মেনে নিতে পারেননি। একারণে হুমায়ুন কবির ও তাঁর সমর্থকদের দমিয়ে রাখতে প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। গত ৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিশ্বনাথের বাসিয়া সেতুর উপর যখন তারা হুমায়ুন কবিরের উপর হামলার উদ্দেশ্যে গাড়ী বহরকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে, সেদিন সেখানে বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুনু মিয়ার ব্যক্তিগত সহকারী ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসাধারণ সম্পাদক সিজিল মিয়ার বড় ভাই সেবুল মিয়া ছিল। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ পরিবারের সদস্যকে সাথে নিয়ে কেন সেদিন সিলেট-২ (বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর) আসনে আগামী দিনে বিএনপির কান্ডারী হুমায়ুন কবিরের উপর হামলার চেষ্টা করা হল তার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করার জন্য কেন্দ্রীয় বিএনপির নীতিনির্ধারকদের সুদৃষ্টি কামনা করেন নেতৃবন্দ। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন কুটনীতিবিদ হুমায়ুন কবিরের উপর হামলার চেষ্টাকারী ও এর নেপথ্যে বিএনপির যারা জড়িতদের অভিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্থি প্রদান করার জন্য সরকার ও বিএনপির কাছে জোর দাবী জানান নেতৃবৃন্দ।
বিবৃতি দাতারা হলেন, সিলেট জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদেও সাবেক চেয়ারম্যান সুহেল আহমদ চৌধুরী, বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ও দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্বাস আলী, বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি ও অলংকারী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম রুহেল, বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও লামাকাজি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির হোসেন ধলা মিয়া, বিশ্বনাথউপজেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক মনির মিয়া, বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক কলমদর আলী, বিএনপি নেতা ইকবাল, আব্দুর রব ইউসুফ। প্রেসবিজ্ঞপ্তি।