বিস্তারিত
  • লার্ণিং পয়েন্টের ভ্রমণ এবং কিছু কথা……


    বিশ্বনাথ বিডি ২৪ || 27 April, 2018, 5:41 PM || ভ্রমণ


    তজম্মুল আলী রাজু :: এক সাথে এত মানুষের সাথে মিশা কঠিন কাজ। সেই কঠিন কাজটি সহজে করেছে প্রিয় প্রতিষ্টান লার্ণিং পয়েন্ট। ৩৮০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে ভ্রমন করে বিনোদন প্রেমী লার্ণিং পয়েন্ট। অন্তরের অন্তস্থল থেকে অসংখ্য অগণিত ধন্যবাদ। সেই সাথে অভিজ্ঞতা ও মেধাবী যুবসমাজের অহংকার প্রতিষ্টানে প্রতিষ্টাতা প্রধান মো. মঈনউদ্দিন স্যারকে স্যালুট জানাই।
    সকাল সাড়ে ৮টায় বিশ্বনাথ শহর থেকে লার্ণিং পয়েন্টের ৫টি বাসে ১৯০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা করে হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার গ্রীনল্যান্ড পার্কের উদ্দেশ্যে। প্রতিটি বাসেই শিক্ষার্থীদের আন্দন করার জন্য স্পীকারের ব্যবস্থা। স্পীকার পেয়ে সবাই শুরু করে মন উজাড় করে গান আর নিজের মতামত। এখানেই থেমে নেই আর অনেক অনেক মজা……।
    ৯টায় আমাদের বাসগুলো পৌছে ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজারে সেখানে লার্নিং পয়েন্টের আরো একটি শাখা অই শাখার আরো ৫টি বাস সেই বাসগুলোতে আরো ১৯০ জন শিক্ষার্থী। তারাও ভুল করবে না আমাদের সঙ্গী হতে। সব মিলিয়ে ৩৮০ জন শিক্ষার্থী। চলছে প্রতিটি গাড়িতে আনন্দ, চলছে মনের আনন্দে গান আর গান……। মজার, মজার কথা দিয়েই চলছে যাত্রা।
    এক সময় থেমে গেলে সবকটি বাস। অল্প বিরতী। তাও জাতীয় উদ্যান সাতছড়ি। সাতছড়িতে ঘুরতে মাত্র সময় দিলেন মঈনউদ্দিন স্যার ৩০ মিনিট। এর পূর্বে সাতছড়ি উদ্যানের গেইট সংলগ্ন স্থানে দাড়িয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা বলেন এবং অল্প সময় ঘুরে বাসে আসতে নির্দেশ দিলেন। এই সময়ে আমরা অনেক ঘুরলাম। ভালই লাগল।


    তারপর গ্রীনল্যান্ড পার্কে প্রবেশ করেই দুপুরের খাবার শেষ করা হল। খাবারের পরে সবাই বেরিয়ে পড়লেন চারিদিকে। পার্কের বিশাল এলাকা এখানে অনেক জায়গা অই জায়গার মধ্যে যার যার মত করে ঘুরাঘুরি। প্রকৃতির সুন্দর্য উপভোগ, সেলফি উঠানো, ঘোড়ায় উঠা, দল বেঁধে গানের আসরে গান করা। কতকিছু। মনের খোরাক দিতে গিয়ে আমি নিজেও গান গাইতে হয়েছে। শুধু আমি কেন? সব শিক্ষক, শিক্ষিকা, ছাত্র এবং ছাত্রীরাও।
    লার্ণিং পয়েন্টের শিক্ষক আব্দুস শহিদ, সালিক মিয়া, ফখরউদ্দিন, আব্দুল আলিম সুহেল, জুবায়ের আহমদ, বেলায়েত হোসেন বেলাল, শিপলু আহমদ, তালহা বিন সুয়েব হেলালী তাদের দায়িত্ব পালনে সবাই মুগ্ধ। সঠিক দায়িত্ব পালন ও বন্ধত্বপূর্ণ আচরণ বাড়িয়ে দিয়েছে ভ্রমণের ব্যাপক আনন্দ। আমি তাদের প্রতিও কৃতজ্ঞ।
    অনেক শিক্ষার্থী আমাকে তাদের নাম দিতে পত্রিকায় বলেছেন, এই কঠিন কাজটি আমি কিভাবে করব। সবার নাম লিখতে না পারায় আন্তরিকভাবে দু:খ প্রকাশ করছি। পত্রিকায় আপনাদের নাম না দিলেও অন্তরে লিখা থাকবে। আর সুযোগ হলে আপনাদের সবার নাম দিব এই আশ্বাস ছাড়া আর কিছু বলার নাই। আমাকে ক্ষমা করবেন।
    ভ্রমণে আমি তাদের সঙ্গী হতে পেরে গর্বিত। এ ভ্রমণ স্মরনীয় হয়ে থাকবে। বিশ্বনাথের ইতিহাসে লিখা থাকবে চিরদিন-চিরকাল সেই প্রত্যাশা করতেই পারি……।

    লেখক : সম্পাদক ও প্রকাশক, বিশ্বনাথ বিডি ২৪ ডটকম।



সর্বশেষ খবর


নিউজ খুঁজুন
আর্কাইভ
ফেইসবুক পেইজ