বিশ্বনাথ বিডি ২৪ || 06 July, 2021, 7:00 PM || সিলেট
সাইফুল ইসলাম বেগঃঃ ক্রমেই ছোট হয়ে আসছে বন-জঙ্গল। প্রকট হচ্ছে খাদ্য সংকট। এ অবস্থায়লোকালয়ে ছুটে আসছে স্তন্যপায়ী প্রাণী বানর। ঠিকে থাকার লড়াইয়ে মানুষেরসাথে নিজেদের খাপ খাইয়ে নিচ্ছে তারা। ছোট ছোট দলে বিভক্ত হয়ে বিভিন্নবাসা-বাড়ির ছাদ ও অফিস পাড়ার কার্নিসে খুঁজে নিচ্ছে আশ্রয়।
তেমনি কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি সিলেটের উপপরিচালকের কার্যালয় ভবনে বসতিগড়েছে একদল বানর। আশপাশের গাছ-গাছালি থেকে ফলমূল ও অফিস ষ্টাফদের দেয়াখাবারে স্বাচ্ছন্দ্যে দিন কাটাচ্ছে বানরেরা।
এ অফিস পাড়া যেন হয়ে উঠেছেতাদের নিরাপদ আবাসন।সরেজমিন সিলেট শহরের ধোপাদিঘিরপাড়স্থ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরেরউপপরিচালকের কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, নতুন ভবনের তৃতীয় তলার কার্নিসেকিছু দূর পরপর বসে আসে একাধিক বানর। কোথাও একত্রে বসেছে দু’টি।
কারও পাশেআছে বাচ্চাও। আগন্তুকের উপস্থিতিতে বিচলিত নয় কেউ। স্বাভাবিক ভাবেইখুনসুটিতে ব্যস্ত ওরা। এটি যেন তাদের অভয়াশ্রম
অফিস সূত্র জানায়, বহু আগ থেকে উপ-পরিচালকের কার্যালয় ভবনে নিরাপদ আবাসনগড়ে ৮০-৯০ সদস্যের একদল বানর। দিনের বেলা দল বেঁধে চষে বেড়ায় নতুন-পুরাতনভবনসহ পুরো এলাকা। কখনও প্রতি কার্নিসে সারিবদ্ধ ভাবে বসে নেয় বিশ্রাম।মাঝে মধ্যে বিভিন্ন অফিস রুমে ঢুকে দখলে নেয় কর্তার চেয়ারও। এ্যলোম্যালোকরে রাখে টেবিলের কাগজাদি।
রাত্রি যাপনে তাদের পছন্দ পুুরনো অফিস ভবন।সন্ধ্যার সাথে সাথে ওই ভবনে জড়ো হয় সবাই। যার যার মতো ঘুমিয়ে পড়েনি:শব্দে। পরদিন ভোর থেকেই শুরু লাফালাফি। এগাছ থেকে ওগাছে, এভবন থেকেওভবনে। মধ্যখানে একটু জিরিয়ে দিনভর ফের ছুটাছুটি। কখনও হেটে বেড়ায় আপনমনে।এ বিষয়ে কথা হলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেট অঞ্চলের অতিরিক্তপরিচালক দিলীপ কুমার অধিকারী বলেন, আমি এসে ওদেরদেখেছি। শুনেছি বানরেরা বহু আগ থেকে এখানে আছে। মাঝে মধ্যে আমাদের বিরক্তকরে।
ভেতরে প্রবেশ করে নিয়ে যায় খাবার। কেটে দেয় টেলিফোনের তারও। এতে তেমন সমস্যা হয়না। খাদ্যের অভাবে তারা এসেছে। এ প্রাণী পরিবেশেরঅবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই আমরা তাদের নিরাপদ বিচরণ নিশ্চিত করেছি।