বিস্তারিত
  • ডাক্তার শুন‌্য ওসমানীনগর পশু প্রজনন কেন্দ্র!


    বিশ্বনাথ বিডি ২৪ || 11 November, 2020, 5:27 PM || সিলেট


    ডেস্ক রিপোর্ট:- দয়ামীর ইউনিয়ন পরিষদ ভবনের পাশেই রয়েছে পশু প্রজনন কেন্দ্র অফিস। ওসমানীনগর উপজেলা সর্বপ্রথম প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অধীনে শুরু হয়েছে ছিল কুরুয়াবাজারস্হ ইউনিয়ন পরিষদের দক্ষিণ পাশে সিলেট ঢাকা মহাসড়কের পাশেই এই অফিসটি।

    তৎকালীন সময়ে এই এলাকায় গবাদিপশু সুচিকিৎসার ব্যবস্থা জন্য স্থানীয় প্রবাসী কমিউনিটি দাতাদের সমন্বয়ে আলাপ আলোচনার ভিত্তিতে ভূমি ক্রয় করে একটি হাসপাতালের জন্য তারা ভবন নির্মাণ করেন।

    তাদের সময়োপযোগী পদক্ষেপে নিয়োগ দেওয়া হয় সাময়িক পশু ডাক্তার। এমতাবস্থায় দীর্ঘদিন চলার পথে সরকারি ভাবে মৎস্য প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অধীনে নেওয়া হয় ভবনটি। দেওয়া হয় সরকারি সুযোগ সুবিধা ও। কিন্তু ওসমানীনগর উপজেলা মৎস্য প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা অফিসের জন্য সরকারি বরাদ্দ আসার সাথে সাথেই উপজেলার সকল জনসাধারণের সুবিধাজনক স্থান তাজপুরকে বেচে নিয়ে নির্মিত হয় উপজেলা মৎস্য প্রাণিসম্পদ অফিস।

    এরপরই কুরুয়া বাজারসহ পশু হাসপাতালটি অচল হয়ে যায়। সরকারি ভাবে এখানে সকল সুযোগ সুবিধা বন্ধ হয়ে পড়ে। এমত অবস্থায় দীর্ঘ এক যুগের ও বেশি সময় ধরে অবহেলা ও অযত্নে ডাক্তার শুন্য হয়ে যায় দয়ামীর ইউনিয়ন ও প্রাণিসম্পদ অফিস। স্থানীয়রা পড়েছেন বিপাকে। তারা বলছেন, ওসমানীনগর উপজেলা আলাদা হওয়ার বহু পূর্ব থেকে যে সময়ে উপজেলা মৎস্য প্রাণিসম্পদ অফিস ছিল না তখন বৃহত্তর কুরুয়া এলাকার বৃত্তবানরা দয়ামীর ইউনিয়ন প্রাণি সম্পদ অফিস চালু করেছিল।

    পরবর্তী সময়ে সরকারি ভাবে অফিসটি আওতায়ভুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু ওসমানী নগর উপজেলা মৎস্য প্রাণিসম্পদ অফিস নির্মিত হলে বহু দিনের কষ্টের ফসল এই অফিসটির কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।

    এতে গবাদি পশু সহ মৎস্য প্রাণিসম্পদ বিভাগের সকল ধরনের সেবা ও সহযোগীতা থেকে বঞ্চিত হন এলাকার জনসাধারণ। এছাড়া সরকারি নজরদারি না থাকায় পুরো ভবনটি এখন অকেজো রয়েছে।

    ভবনটির দরজা, জানাজা, ছাদ ও ভবনের রং উঠে এখন দেখার মতো কিছুই নেই। এছাড়া নেই ডাক্তার,হাসপাতালের কোনো কার্যক্রম। এই এলাকার গবাদি পশু পাখির স্বাস্থ্যের অবনতি হলে প্রচুর কষ্ট করে তাজপুর পশু হাসপাতাল কিংবা প্রাইভেট ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হয়।।

    এতে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করলেন এই এলাকার জনসাধারণ। এ বিষয়ে কথা হলে স্হানীয় এলাকার প্রবীণ মুরব্বি ও দয়ামীর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী হিরন মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, দীর্ঘদিন যাবত এই কেন্দ্রটি অযত্নে অবহেলায় ডাক্তার শূন্য রয়েছে, আমরা এলাকার সবার সুবিধার জন্য প্রবাসীদের সাহায্য সহযোগিতার মাধ্যমে এই হাসপাতালকে নির্মাণ করেছি, দীর্ঘদিন এখানে সুষ্ঠু সুন্দর সেবা ও ছিল। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে এই ভবনটি ওসমানীনগর উপজেলা মৎস্য প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার অফিস হওয়ার কথা ছিল।

    কিন্তু এখানে না দিয়ে উপজেলার তাজপুরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমরা এখানে ইউনিয়ন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার অফিস হিসাবে একজন নিয়মিত ডাক্তার দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করে ছিলাম তারা জানিয়েছেন, সরকারি নিয়োগ না থাকার কারণে এখানে ডাক্তার দিতে পারছেন না।

    তিনি বলেন, এই এলাকায় গবাদিপশু পাখির সুচিকিৎসার ব্যবস্থার জন্য সরকারি ভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ একজন নিয়মিত ডাক্তার নিয়োগ করবেন এবং ভবনটি মেরামত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।



সর্বশেষ খবর


নিউজ খুঁজুন
আর্কাইভ
ফেইসবুক পেইজ