বিস্তারিত
  • বাসন্তী সাজে


    বিশ্বনাথ বিডি ২৪ || 22 February, 2018, 7:12 PM || লাইফ স্টাইল


    বসন্ত এসে গেছে। এখন প্রকৃতিতে বিরাজ করছে মন উদাস ও চঞ্চল সমীরণের উচ্ছ্বাসের আবহ। ফুলে ফুলে উড়ছে রঙিন প্রজাপতি। প্রকৃতির মতো তরুণ-তরুণীদের মনেও ছড়িয়ে পড়েছে বসন্তের রঙের আভা। বসন্তের প্রথম দিনে আপনি নিজেকে কীভাবে সাজাবেন, সেই পরামর্শ জানিয়েছেন নওশীন শর্মিলী
    আজ বাঙালির প্রিয় বসন্তবরণ উত্সব। ফাল্গুনের এই দিনে পরতে পারেন বাসন্তী রঙের শাড়ি, খোঁপায় গাঁদা ফুলের মালা, হাতভর্তি চুড়ি, কপালে লাল টিপ। এতেই ফুটে ওঠে বাঙালি নারীর ফাল্গুনের প্রকৃত সাজ। প্রকৃতিতে এখন রঙের এমনই ছড়াছড়ি, তাই সাজপোশাকে চাই একটু ভিন্নতা। শাড়িটা একরঙা, পাড়ে বর্ণিলতা। শাড়িটা যেহেতু এক রঙের, তাই ব্লাউজটা যেন বেশ বাহারি হয়। যেমন—হালকা হলুদ জমিন ও কমলা পাড়ের শাড়ির সঙ্গে লাল ব্লাউজ মানানসই। কমলা রঙের ব্লাউজ পরতে পারেন হালকা সবুজ জমিন হলুদ পাড়ের শাড়ির সঙ্গে। কম বয়সী মেয়েরা ব্লাউজের গলাটা বড় পরতে পারেন। স্লিভলেস ব্লাউজ পরলে শাড়িটা এক প্যাঁচে না পরাই ভালো। ফাল্গুনের প্রথম দিনে ঘটি হাতা, খাটো হাতার ব্লাউজের আবেদন তো আছেই। ব্লাউজে ছোট ঘণ্টা, কলকা ব্যবহার করা যেতে পারে। শাড়ির সঙ্গে কনট্রাস্ট করে ব্লাউজের রঙটা বেছে নিন। স্লিভলেস ব্লাউজ পরলে শুধু তাজা ফুলের বাজুবন্ধ পরতে পারেন। গলায় বা হাতে যেকোনো একটি গয়না পরতে পারেন। আর যদি মন চায় তো ফুলের গয়না বানিয়ে পরতে পারলে তো আপনি হয়ে উঠবেন অনন্যা। সেইসঙ্গে পরতে পারেন বসন্তের সালোয়ার-কামিজ ও ফতুয়া। আমাদের দেশীয় ফ্যাশন হাউসগুলোতে পাবেন বাহারি ডিজাইনের বাসন্তী সালোয়ার-কামিজ ও ফতুয়া। আপনি যদি শাড়ি না পরে সালোয়ার-কামিজ বা ফতুয়া পরেন, তবে সঙ্গে সাজসজ্জার বিষয়টির দিকেও বিশেষ নজর দিতে হবে।
    শাড়ি পরার ক্ষেত্রে এক প্যাঁচেতেই বেশ মানাবে ফাল্গুনের প্রথমদিনে। ফাল্গুনেও শীতের হালকা আমেজ থেকে যায়। তাই মেকআপ খুব গাঢ় না করে হালকা করে সেজে নেওয়াই ভালো। কারণ দিনের রোদে মেকআপ নষ্ট হয়ে যেতে পারে। মেকআপ নেওয়ার আগে মুখ মেকআপ উপযোগী করে তুলতে ভালোভাবে ক্লিনজিং করে নিন। এবার ময়েশ্চারাইজিং ক্রিম লাগিয়ে নিন। ১০ মিনিট পর ফাউন্ডেশনের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা পানি মিশিয়ে মুখমণ্ডলে লাগিয়ে নিন। ফাউন্ডেশন মসৃণভাবে ত্বকে মিশিয়ে নিন। তারপর হালকা ফেসপাউডার বুলিয়ে নিন। ত্বকের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে শেড নির্বাচন করুন। এবার চোখদুটোকে সাজিয়ে নিন একটু গাঢ় করে মাশকারা, আইলাইনার, কাজল আর হালকা আইশ্যাডো দিয়ে। অবশেষে লিপস্টিক আর কপালে একটি লাল রঙের বড় টিপ। হালকা লিপগ্লস বুলিয়ে নিতে পারেন ঠোঁটে। লিপলাইনার একটু গাঢ় রঙের বেছে নিন। ফাল্গুনের প্রথম দিনের সাজ এখন আর একই ঢঙে সীমাবদ্ধ নেই। যেমন ফুল শুধু খোঁপা নয়, চুলের নানা রকম স্টাইলের সঙ্গে ভিন্ন ভিন্ন ফুল ও ফুলের মালা ব্যবহার করা হচ্ছে হাতে, কপালে। ফাল্গুনকে বরণ করতে একটু অন্য রকমভাবে সাজতে পারেন তরুণীরা নিজস্ব স্টাইলে।
    প্রকৃতিতে এখন বসন্তের ছোঁয়া। তাই চারদিকে ফুলের ছড়াছড়ি। শীত যেতে না যেতেই প্রকৃতি মেতেছে পাতা ঝরার খেলায়। গাছে গাছে ফুলের আনাগোনা। দুয়ারে কড়া নাড়ছে দখিনা বাতাস। এ জগতে ফুলই একমাত্র উপাদান, যা দিয়ে সবচেয়ে সুন্দর মুহূর্তগুলোকে বরণ করা যায়। এই সময়টায় মানুষের মন অনেক উত্ফুল্ল থাকে। এ সময় প্রকৃতি আমাদের যে ফুলগুলো দেয়, তা আমরা বছরের অন্য সময়ে পাই না। চারদিক হলুদ রঙের গাঁদা ফুলে ভরে যাচ্ছে। বসন্তে আমরা যেসব ফুলের ছোঁয়া পাই, তা আমরা জীবনের অনেক জায়গায় অনেকভাবে ব্যবহার করতে পারি। ফুল মেয়েদের কাছে এখন অনেক পছন্দের একটি অলঙ্কার। নানা ধরনের ফুল তারা খোঁপায় ব্যবহার করতে পারছে। জুয়েলারি হিসেবে হাতে, গলায়, কানে, কোমরে ফুল দিয়ে সাজতে পারেন ফাল্গুনের প্রথম দিনে। সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে তুলতে ফুল অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে ফুলের ব্যবহারও আমাদের ভালো করে জানতে হবে।
    উত্সবে চুল খোলা রাখতে পছন্দ করেন অনেকেই। এ ক্ষেত্রে এক পাশে ক্লিপ আটকে তার ওপর ফুল গুঁজে দিতে পারেন। অথবা কানের পাশ দিয়ে হালকাভাবে গুঁজে দিতে পারেন কয়েকটি ফুল। ফুল বড় হলে একটি, ছোট হলে তিন-চারটি। পিছনে চুল আটকানোর জায়গাটিতে আটকে দিতে পারেন পছন্দের ফুলটি। দুই পাশ থেকে চুল পেঁচিয়ে এনেও পুরো চুল খোলা রাখতে পারেন। এক্ষেত্রে দুল ও মেকআপের সঙ্গে মিলিয়ে সঠিক জায়গায় ফুলটিকে আটকে নিন। হালকা অথবা আঁটসাঁট করে খোঁপাও করে নিতে পারেন। খোঁপার চারপাশ দিয়ে মালা না পেঁচিয়ে একটু অন্যভাবেও পরতে পারেন। খোঁপার চারপাশ দিয়ে পরপর ছোট ফুল গেঁথে নিন অথবা একটি বড় ফুল খোঁপা ও কানের মধ্যে আটকে নিন। বেণিতেও অন্যভাবে ফুল আটকে তৈরি করতে পারেন সুন্দর লুক।
    মডেল     প্রেইরী, জারা ও মোনায়েম
    পোশাক     কইন্যা ও পাঞ্জাবিওয়ালা
    গহনা     আয়নাঘর
    সেট     লিভিং কনসেপ্ট
    স্টাইলিং     টনি
    ছবি     আশিক
    সূত্র : দৈনিক ইত্তেফাক



সর্বশেষ খবর


নিউজ খুঁজুন
আর্কাইভ
ফেইসবুক পেইজ