বিশ্বনাথ বিডি ২৪ || 03 February, 2025, 6:25 PM || বিশ্বনাথ
বিশ্বনাথবিডি২৪:: প্রবাসে অবস্থানরত বাংলাদেশের নাগরিকদের এদেশে তাদের স্থাবর সম্পত্তি ভোগদখল, হস্তান্তর, ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রে পাওয়ার অব এটর্নি সংক্রান্ত জটিলতার অবসান হয়েছে। এতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন বিশ্বনাথের কৃিতি সন্তান বিট্রেনের খ্যাতিমান আইনজীবি, ব্যারিষস্টার নাজির আহমদ।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন মন্ত্রণালয় থেকে এ ব্যাপারে নির্দেশনা সম্প্রতি গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়েছে। বিগত সরকার পাওয়ার অব এটর্নি প্রদানের ক্ষেত্রে প্রবাসী বাংলাদেশী নাগরিকদের অনেক অপ্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট ও কাগজপত্র বাধ্যতামূলক করে নির্দেশনা প্রণয়ন করে। ফলে প্রবাসীরা পাওয়ার অব এটর্নির মাধ্যমে দেশে তাদের প্রতিনিধি মনোনয়নে মারাত্মক দুর্ভোগের শিকার হন।
দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে প্রবাসীরা তাদের এ সমস্যা নিরসনে দাবী জানিয়ে আসলেও বিগত সরকার এ ব্যাপারে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। বৃটেন প্রবাসী বিশিষ্ট আইনজ্ঞ, সংবিধান বিশেষজ্ঞ, ব্যারিস্টার নাজির আহমদ অতীতে বিভিন্ন সময় এ সমস্যা নিরসনে বৃটেনে ও বাংলাদেশে নানা কর্মসূচির নেতৃত্ব দেন।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর ব্যারিস্টার নাজির আহমদ সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনুস, প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমদ, আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন মহলে যোগাযোগ করে এ ব্যাপারে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবী জানান।
তার এ দাবী পূরনে আইন উপদেষ্টা এবং প্রধান বিচারপতি তাকে আশ্বস্ত করেন। এর প্রেক্ষিতে আইন মন্ত্রণালয় থেকে প্রবাসীদের পাওয়ার অব এটর্নি প্রদান সহজীকরণের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয় এবং তা গেজেটে পরিণত করা হয়। নতুন নিয়ম অনুযায়ী প্রবাসীরা তাদের নাগরিকত্ব প্রমাণে বৈধ নিম্ন উল্লেখিত যে কোনো একটি বাংলাদেশী ডকুমেন্ট প্রদান করিতে পারিবেন। বৈধ বাংলাদেশী পাসপোর্ট (ই-পাসপোর্ট/এমআরপি), মেয়াদোত্তীর্ণ হাতে লেখা বাংলাদেশী পাসপোর্ট/এমআরপি পাসপোর্ট, নো-ভিসা, বাংলাদেশী জাতীয় পরিচয়পত্র, বাংলাদেশী জন্মসনদ, বাংলাদেশী শিক্ষা সনদ, বাংলাদেশী জাতীয়তার প্রমাণক অন্য যে কোন সরকারী দলিল।
এছাড়া অন্যান্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসমূহ যেমন বাংলাদেশ সরকার নির্ধারিত ফরম্যাটে স্বাক্ষরবিহীন পাওয়ার অব অ্যাটর্নি (POA) নথির ২ (দুই) সেট, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দাতা ও গ্রহিতা প্রত্যেকের দুটি করে পাসপোর্ট সাইজ (সাদা পটভূমিতে এবং সাম্প্রতিক) রঙিন ছবি, পর্চা এর ফটোকপি, যুক্তরাজ্য/উত্তর আয়ারল্যান্ডের ঠিকানার প্রমাণপত্র, উত্তরাধিকার সনদ (ওয়ারিশনামা) (যদি দাতাগণ উত্তরাধিকারী হন, পাওয়ার গ্রহিতাগণের বাংলাদেশী NID (জাতীয় পরিচয়পত্র) কার্ডের কপি, প্রসেসিং ফি (অফেরতযোগ্য)£৪০.০০। উপরে উল্লেখিত যে কোন একটি ডকুমেন্ট প্রদর্শন করে পাওয়ার অব এটর্নি প্রদান করতে পারবেন।
এ ব্যাপারে প্রবাসীদের দাবী আদায় আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী প্রখ্যাত আইনজ্ঞ ব্যারিস্টার নাজির আহমদ বলেন, ‘বিগত বছরগুলোতে প্রবাসীরা এই জটিলতা নিরসনে সোচ্চার থাকলেও বিগত সরকার প্রবাসীদের দাবীর প্রতি সন্মান প্রদর্শন করেনি, বর্তমান সরকার প্রবাসীদের এ দাবী মেনে নিয়ে তা কার্যকর করেছেন’। তিনি এ ব্যাপারে সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
\