বিস্তারিত
  • বিশ্বনাথে দোকান পরিচালকের উপর হামলার ঘটনায় ৫ জনকে আসামী করে মামলা


    বিশ্বনাথ বিডি ২৪ || 02 December, 2024, 10:15 PM || বিশ্বনাথ


    নিজস্ব প্রতিবেদক:: সিলেটের বিশ্বনাথ পুরান বাজারের রহিম ব্রার্দাসের পরিচালকের উপর হামলার ঘটনায় ৫জনকে আসামী করে ৩০ ডিসেম্বর বিশ্বনাথ থানায় মামলা করেছেন রহিম ব্রার্দাসের মালিক রহিমউদ্দিন। যার নং ১৪। ওই মামলায় অজ্ঞানানামা হিসেবে আরো ৫/৬জনকে আসামী করা হয়েছে।
    মামলার আসামীরা হলেন পৌর এলাকার পূর্ব মন্ডলকাপন গ্রামের মৃত: আরমান আলীর পুত্র এমরান আহমদ লিটন, একই গ্রামের মৃত: ফরমান আলীর পুত্র জয়নাল আবেদীন, হেলাল মিয়া, হেলাল মিয়ার পুত্র আলী হোসেন ও জয়নাল আবেদীনের পুত্র কামরান।
    মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছেন, মামলার আসামীরা আইন-উঙ্খৃলা, দখলবাজ, সন্ত্রাসী এবং চাঁদাবাজ প্রকৃতির লোক। আমি একজন ব্যবসায়ী। বর্তমানে বিশ্বনাথ পুরানবাজারে রহিম ব্রার্দাস নামক আমার সারের দোকানের ব্যবসা করে আসছি। উক্ত দোকান কোটা লন্ডন প্রবাসী মো. মিজু আহমদের কাছ থেকে আমি মাসিক ভাড়া হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসতেছি। লন্ডন প্রবাসী মিজু আহমদ ১নং বিবাদীর সৎ ভাই হওয়ায় বিবাদী প্রায় সময় আমার নিকট টাকা-পয়সা দেওয়ার জন্য দাবী করিয়া আসিতেছে। তখন আমি উক্ত বিবাদীগণকে নিয়ে দোকান বাবত লন্ডন প্রবাসী মিজু আহমদের নিকট আলোচনা করিলে ১নং বিবাদীকে কোন টাকা পয়সা না দেওয়ার জন্য আমাকে অনুরোধ করেন। বিবাদী এমরান আহমদ লিটনের চাহিদা মত কোন টাকা-পয়সা না দেওয়ার জন্য বলা হয়। সে আমাকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি, হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছিল। ফলে গত ২৭ নভেম্বর ঘটনার দিন রাত অনুমান সাড়ে ৯টায় উক্ত বিবাদীর সহযোগী ও অপরাপর বিবাদীগণ নিয়ে অজ্ঞাতনামা ৫/৬জনকে নিয়ে বিবাদীগণ দেশীয়-অস্ত্র-সস্ত্র, রামধা-চাপাতি, চাক্কুসহ নিয়া আসিয়া দোকানের পরিচালক আমার চাচাত ভাই গিয়াস উদ্দিনের নিকট এই মুহুর্তে ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার জন্য চাঁদা দাবি করে। কিন্তু উক্ত বিবাদীদের কথা মত দোকানের পরিচালক গিয়াস উদ্দিন চাঁদা না দেওয়ার তাদের মধ্যে প্রথমে তর্ক-বির্তক হয়। এক পর্যায়ে ২নং বিবাদী জয়নার আবেদীনের হুকুমে ১নং বিবাদীর হাতে থাকা দারাল রামদা দিয়া প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে গিয়াস উদ্দিনের মাথা লক্ষ করিয়া চেদ মারিলে উক্ত ছেদ বাম হাত দিয়া পিরাইতে গেলে বাম হাতে পড়ে কাটা রক্তাক্ত যখম হয়। অন্য বিবাদীগণ আমার চাচাত ভাই গিয়াস উদ্দিনকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি, লাথি মারিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে যখম করে। পরে সমুহ বিবাদীগণ আমার দোকানের ভিতরে থাকা বিভিন্ন জিনিসপত্র ভাংচুর করিয়া আনুমানিক ২০ হাজার টাকা ক্ষতি সাধন করে। ৫নং বিবাদী কামরান আমার দোকানে ক্যাশে থাকা বিভিন্ন নোটের নগদ ৭৫ হাজার ৭শত ৩০ টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। যখমির ডাক চিৎকার শুনিয়া বাজারের আশ পাশের ব্যবসায়ীরাসহ বাজারের উপস্থিত লোকজন ঘটনাস্থলে আগাইয়া আসেন। এসময় যখমি গিয়াস উদ্দিনকে রক্ষা করেন। আমি ঘটনার সংবাদ পাইয়া তাৎক্ষনিক আমার দোকানে আসিয়া সমুহ ঘটনা শুনে অবগত হই। সাক্ষাীদের সহযোগিতায় আমার চাচাত ভাই যখমি গিয়াস উদ্দিনকে বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়া গেলে চিকিৎসকরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা প্রদান করেন। ঘটনার বিষয়টি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ বাজার কমিটিকে অবহিত করি।
    এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জয়নাল আবেদীন বলেন, কি হয়েছে আমাদের ওসি সাহেবসহ সর্বমহলে জানেন। আমাদেরকে হয়রানী করার জন্য মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। আমি একজন ব্যবসায়ী। আমরা কি ধরনের মানুষ বিশ্বনাথবাসী জানে। আমার ছেলে লেচু মিয়া স্কুলে পড়ালেখা করে তাকেও মামলার আসামী করা হয়েছে। মামলার আসামী করা হয়েছে আমার ভাইকেও। আমি মিথ্যা ও হয়রানীমুলক মামলা প্রত্যাহার করার জন্য প্রশাসনের প্রতি জোরদাবী জানাচ্ছি।
    বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রুবেল মিয়া বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামী গ্রেফতারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।



সর্বশেষ খবর


নিউজ খুঁজুন
আর্কাইভ
ফেইসবুক পেইজ