বিশ্বনাথ বিডি ২৪ || 27 September, 2023, 3:30 PM || বিশ্বনাথ
নিজস্ব প্রতিবেদক :: বিশ্বনাথের জাগরন উচ্চ বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে সম্প্রতি পৌর সভার মেয়র মুহিবুর রহমান বিদ্যালয় পরিদর্শনে এসে তাঁর ফেইসবুক পেইজে ভিডিও প্রচার করে প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে অপপ্রচার করায় ফুঁসে উঠেছেন স্থানীয় এলাকাবাসি।
মেয়রের মিথ্যা, উদ্ভট বানোয়াট তথ্য দিয়ে নিজেকে বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি দাবী করে অপপ্রচার করেন। বিদ্যালয় নিয়ে অপপ্রচারের প্রতিবাদে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির উদ্যোগে বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিদ্যালয় হলরুমে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহ ফরিদ আহমদের সভাপতিত্বে ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক শিক্ষানুরাগী সদস্য শহিদুল ইসলাম সাহিদের পরিচালনায় সভায় লিখিত বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহ ফরিদ আহমদ ও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফারুক আহমদ রহিম।
লিখিত বক্তব্যে প্রকাশ : বিশ্বনাথ সভার মেয়র মুহিবুর রহমান জাগরন উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতা ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি দাবি করেন ফেসবুক লাইভে যা বলেছেন, তা সম্পন্ন মিথ্যা, উদ্ভট ও বানোয়াট তথ্য।
মেয়র মুহিবুর রহমান দাবী করেন ১৯৮৫ সালে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন। বাস্তব সত্য হল ১৯৯০ সালের ১লা জানুয়ারী ধর্মদা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি ক্লাশ রুমের মাধ্যমে জাগরন উচ্চ বিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়। প্রকৃত সত্য আড়াল করে তিনি হতে চান বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা। এতে প্রমাণিত পৌর মেয়র একজন মিথ্যাবাদী। মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে তিনি কিভাবে হবেন বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা? তিনি এলাকার গুণী ব্যক্তিদের নিয়ে বিশোদাগার করে গালিগালাজ করে একটি শান্ত এলাকাকে অশান্ত করার চেষ্ঠা করেন। শান্তিপ্রিয় এলাকাকে অশান্ত করায় প্রায়তারা যেকোন মূল্যে প্রতিহত করার হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন এলাকাবাসি। বিদ্যালয়ের ভ‚মি দাতার নাম ফলক সনাতন ধর্মাবলম্বী মানুষের উপসনালয় মন্দিরের সাথে তুলনা করে গুণী ব্যক্তিদের অপমান করেন মেয়র মুহিবুর রহমান। এলাকাবাসি মেয়রের এমন বক্তব্যে মর্মাহত হয়েছেন। একটি এলাকার বহু আকাংকিত ফসলকে নিজের নামে নেয়ার হীন চেষ্ঠা।
লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়েছে, অ্যাডভোকেট শাহ ফারুক আহমদ তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থে লিখেছেন, তিনি এবং তাঁর পরিবার ওই বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন। প্রকৃত পক্ষে লেখকের গ্রন্থে লেখা হয়নি। মেয়র মুহিবুর রহমান উপজেলা চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে প্রতি এলাকায় তিনি নিজস্ব একটি মোসাহেবের দল সৃষ্ঠি করেন। তাদের কাজ যেখানে যাবেন সেখানে গিয়ে তিনি যা বলবেন তারা সেই কথায় ইয়েস স্যার, শতভাগ সত্য স্যার, সহমত স্যার বলবে। সময় বদলে গেছে কিন্তু মোসাহেবের দলের চরিত্রের কোন হেরফের হয়নি। তিনি আগেও যেমন মানুষকে অপমান জনকভাবে কথাবার্তা বলতেন বর্তমানে সেইভাবে বলেন। বয়সের অনেক মানুষকেও তিনি তুইতুতকারি করে বলেণ। মানুষকে অসম্মান করে কথা বলাটা তাঁর যেমন স্বভাব তেমনি উনার পারিবারিক শিক্ষাও বটে।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর অ্যাডভোকেট শাহ ফারুক আহমদের গ্রন্থ বইটির বিষয়ে ওই এলাকার মিজানুর রহমান সেলিম অশ্লিল ও আপত্তিকর ভাষায় শাহ ফারুক আহমদ ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের আক্রমন করে বক্তব্য দিয়েছেন এটা কোন সুস্থ মস্কিস্কের মানুষের কাজ নয়। নোংরা মানুষের মত বাক্যবানে আঘাত করেছেন। সেই সময় মিজানুর রহমান সেলিমকে না থামিয়ে ওই এলাকার মুরব্বী আব্দুল গফ্ফার উমরা মিয়া তাকে উৎসাহ যোগিয়েছেন। তিনি সঠিক পথে থাকলে তাঁর স।তার অনেক উপরে থাকত। মুহিবুর রহমানের কাছে চালেঞ্জ ছুড়ে লিখিত বক্তব্যে আরো বলা হয়, ১৯৮৫ সালে ওই এলাকায় জাগরণন উচ্চ বিদ্যালয়ের নামে বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছেন, প্রমাণ করতে পারলে কর্তৃপক্ষ ক্ষমা চাইবে। প্রমাণ না করতে পারলে পৌর মেয়র মুহিবুর রহমানকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে।
প্রতিবাদ সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হাজী নোয়াব আলী, হাজী মাসুক মিয়া, গোলাব রব্বনী, ফখর উদ্দিন, আব্দুল জলিল হিরন, জামাল আহমদ, সুজন মেম্বার, ইসমাঈল আলী, আব্দুল মান্নান রিপন, ইউপি সদস্য নাজিম উদ্দিন রাহিন, তানবীর আহমদ, মুরব্বী নেছার মিয়া, জুবেল মিয়া, নূর আলী, ফারুক মিয়া, মনির মিয়া, রুহেল আহমদ, ফারুক মিয়া, ফেরদৌস মিয়া, আজাদ মিয়া, ফরিদ মিয়া, সফিক মিয়া, আব্দুস সামাদ, গৌছ আলী, আবুল কাশেম, আফজাল আহমদ সায়েম, শাহ মুহিত, শাহ রিমু, শাহ সাইদুল ইসলাম সুজা, শাহ রুপন, শাহ অপু, শাহ ইফতেখারুল ইসলাম রাজু, মুজিবুর রহমান মঞ্জু, তামিম আহমদ, আতিক আহমদ, সুশীল দত্ত মন্ডল, হাবিবুর রহমান, ফজর আলী, আখলাছ আলী, আব্দুল মালিক, মফিজ আলী, রশিদুর রহমান ফারুক, সফিক আহমদ, নূর আলী, মনির আহমদ, সোনাফর আলী, শরিফুল হক, শাহ বুরহান আহমদ রুবেল, শাহ আতিক আহমদ, আব্দুল মুকিদ, জিবান আহমদ, জাকির মিয়া, ইমন মিয়া,সাহেদ আহমদ রুহেল, ফাহিম আহমদ, মারজান আহমদ, শামিম মিয়া, অনি আহমদ, মাহিন আহমদ, শাহজাহান, জুবায়ের আহমদ, তায়েফ আহমদ প্রমুখ।