বিস্তারিত
  • হামলায় জগন্নাথপুরের টমটম চালক নিহতের অভিযোগ!


    বিশ্বনাথ বিডি ২৪ || 23 November, 2021, 4:55 PM || বিশ্বনাথ


    বিশ্বনাথবিডিডেস্ক::-বিশ্বনাথের প্রতিবেশীদের হামলায় সুজন মিয়া (২৬) নামে অপর প্রতিবেশী নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের লহরী নোয়াগাঁও গ্রামের আসক মিয়ার ছেলে। রবিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাড়ির কাছেই হামলার শিকার হন পেশায় টমটম চালক সুজন-এমন অভিযোগ করেছে তার পরিবার।

    আহত অবস্থায় তাকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার ভোর ৫টার দিকে তিনি মারা যান। খবর পেয়ে বিশ^নাথ ও জগন্নাথপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
    স্থানীয় সূত্র জানায়, রবিবার দুপুরে বিশ্বনাথের দশঘর ইউনিয়নের পশ্চিম নোয়াগাঁও গ্রামের উজিরউদ্দিনের রাস্তা দিয়ে নিজেদের একটি গবাদী পশু নিয়ে ঘরে ফিরছিলেন প্রতিবেশী আসক মিয়ার মেয়ে। রাস্তা দিয়ে গবাদী পশু যাওয়াকে কেন্দ্র করে বাকবিতন্ডায় জড়ান উজিরউদ্দিনের ভাতিজা সিরাজ মিয়া ও আসক মিয়া। বাকবিতন্ডায় এসে যোগ দেন উজিরউদ্দিনের ছেলে নুরুল ইসলাম ও আসক মিয়ার ছেলে টমটম চালক সুজন মিয়া।
    সুজনের আপন মামাতো ভাই আজাদ মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘রবিবার দুপুরের ওই বাকবিতন্ডার সময় নুরুল টমটম চালক সুজনকে চড়-থাপ্পড়ও দেন। এর জেরে সন্ধ্যা ৭টার দিকে নিজের টমটম গাড়ি গ্যারেজে নিয়ে যেতে বাড়ি থেকে বের হলে সুজনের উপর হামলা চালান নুরুল ইসলাম, তার ভাই রফিকুল ইসলাম, তাদের চাচাতো ভাই সিরাজ মিয়া ও মইনুল, একই গ্রামের মৃত মনোহর আলীর ছেলে ইকবাল, মৃত ইন্তাজ আলীর ছেলে আখলুছ আলী ও ইউসুফ আলীরা।

    হামলায় গুরুতর আহত হলে আশংকাজনক অবস্থায় সুজনকে সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আজ ভোরে তিনি মারা যান।’
    অভিযুক্ত সিরাজ মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি জানান, ‘রবিবার দুপুরে আসক মিয়ার মেয়ে গরু নিয়ে বাড়ি ফেরার সময় আমার খড় খেয়ে ফেলে গরুটি। এ সময় বাঁধা দিতে গেলে ক্ষুব্ধ হয়ে ছুটে আসেন আসক মিয়া। তার সাথে কথা কাটাকাটি হয়। তবে, সন্ধ্যার পর টমটম চালক সুজনের উপর হামলার অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। এরকম কোনো ঘটনাই ঘটেনি। সুজন আগেই থেকে অসুস্থ ছিলেন। অসুস্থতার কারণে ওইদিন সন্ধ্যায় তিনি বমি করেছেন, তাকে স্থানীয় ডাক্তারও দেখানো হয়েছে।’
    বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী আতাউর রহমান জানান, ঘটনাস্থল জগন্নাথপুর উপজেলায় হওয়াতে এ বিষয়ে ওই থানা পুলিশই পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেবে।
    ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জানিয়ে জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইখতিয়ারউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ময়নাতদন্তের জন্যে সুজনের লাশ সিলেট ওসমানী হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। পুলিশ ইতোমধ্যে ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করেছে।



সর্বশেষ খবর


নিউজ খুঁজুন
আর্কাইভ
ফেইসবুক পেইজ