বিস্তারিত
  • বিশ্বনাথ উপজেলা জামায়াতের আমিরসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা


    বিশ্বনাথ বিডি ২৪ || 28 September, 2020, 4:34 PM || বিশ্বনাথ


    বিশ্বনাথবিডি২৪ঃ- বিশ্বনাথে প্রকৃত মালিকানা গোপন এবং খতিয়ান ও উত্তরাধিকারী সনদ জাল করে জায়গা দলিল সম্পাদন করার অভিযোগে উপজেলার বেতসান্দি আলমনগর গ্রামের মৃত: হাজী সিকন্দর আলীর পুত্র যুক্তরাজ্য প্রবাসী জামায়াত নেতা আকদ্দুছ আলী বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    আকদ্দছ আলীর চাচাতো বোন একই গ্রামের মৃত ইছকান্দর আলীর মেয়ে নেহার বেগম বাদী হয়ে গত ৭ সেপ্টেম্বর সিলেট জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ১ম আমল গ্রহনকারী ৩ আদালতে এই মামলাটি দায়ের করেন। বিশ্বনাথ সিআর মামলা নং-১৫৮/২০২০ইং। বিশ্বনাথ উপজেলা জামায়াতের আমীর আব্দুল কাইয়ূম অলংকারী ইউনিয়ন এডুকেশন সোসাইটির চেয়ারম্যান হিসেবে ওই দলিল গ্রহীতা হওয়ায় তাকেসহ মামলায় মোট ১৪জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

    অন্যান্য অভিযুক্তরা হলেন-আকদ্দছ আলীর ভাই লিয়াকত আলী, মন্তাজ আলী, বোন সোনারা বেগম, মায়ারুন নেছা, আশিকুন নেছা, আনোয়ারা বেগম, মিনারা বেগম, মা পরতিঙ্গা বেগম, বাদীর বোন ছালেহা খাতুন, উপজেলার টেংরা গ্রামের মৃত সৈয়দ তছির আলীর পুত্র সৈয়দ বদরুল আলম, খুরমা গ্রামের মৃত আইয়ূব আলীর পুত্র আব্দুর রহমান এবং বড়তলা গ্রামের মৃত কুরবান আলীর পুত্র মাহমুদ আলী।

    দায়েরকৃত মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, ২০০৮ সালের ২০ অক্টোবর অভিযুক্ত আকদ্দছ আলী এবং তার ভাই-বোন ও মাতা বিশ্বনাথ সাব-রেজিষ্ট্রার অফিসে একটি দলিল রেজিষ্ট্রারী করেন। দলিল নং-২৬৮৬। ওই দলিলে বেতসান্দি মৌজার ২৩ ও ২৬ নং দাগ এবং পিটাকরা মৌজার ৩৯৪, ৩৯৬ ও ৩৯৭ দাগের ভূমি অলংকারী ইউনিয়ন এডুকেশন সোসাইটির নামে রেজিষ্ট্রারী করে দেয়া হয়।

    সোসাইটির পক্ষে গ্রহীতা হিসেবে দলিলে স্বাক্ষর করেন সংগঠনের চেয়ারম্যান উপজেলা ছত্তিশ গ্রামের ইসলামউদ্দিনের পুত্র ও বিশ্বনাথ উপজেলা জামায়াতের আমীর আব্দুল কাইয়ূম এবং সোসাইটির ভাইস চেয়ারম্যান ও টেংরা গ্রামের মৃত সৈয়দ তছির আলীর পুত্র সৈয়দ বদরুল আলম। বাদীর অভিযোগ-বেতসান্দি মৌজার ২৩ নং দাগের মালিক মৃত সিকন্দর আলী ও মৃত ইসকন্দর আলীর উত্তরাধিকারী এবং তাদের বোন।

    কিন্ত রেজিষ্ট্রারীকৃত ওই দলিলে সিকন্দর আলীর আলীর উত্তরাধিকারীরা ষোলআনা মালিক উল্লেখ করে দাগের বিএস খতিয়ান ৮১২ স্থলে ১১ খতিয়ান দেখানো হয়। একই মৌজার ২৬ নং দাগের ভূমি মৃত ইসকন্দর আলীর পুত্র মকরম আলী গেদা মিয়া ও মৃত সিকন্দর আলীর পুত্র মকদ্দছ আলী মখন মিয়ার ব্যক্তিগতভাবে ক্রয়কৃত। কিন্ত ৬৩৫০ নং দলিল মূলে অভিযুক্তরা উত্তরাধিকারী দাবি করে দাগের খতিয়ান ৮২৯ এর স্থলে ১২ উল্লেখ করেন। পিটাকরা মৌজার ৩৯৪ ও ৩৯৭ নং দাগের মালিক মৃত সিকন্দর আলী ও মৃত ইসকন্দর আলীর উত্তরাধিকারীগন।

    কিন্ত মৃত সিকন্দর আলী উত্তরাধিকারীরা এককভাবে ষোলআনা মালিক বলে তা রেজিষ্ট্রারীকৃত ওই দলিলে উল্লেখ করেন এবং দাগের খতিয়ান জাল করা হয়। একই মৌজার ৩৯৬ নং দাগের প্রকৃত মালিক আলমনগর জামে মসজিদ। কিন্ত আকদ্দছ আলী এবং তার মা ও ভাই-বোনেরা সেই দাগেরও ষোলআনা মালিক বলে তা বিক্রি করেন এবং ওই দাগেরও খতিয়ান জাল করেন।

    এ ব‌্যাপারে উপজেলা জামায়াতের আমির আব্দুল কাইয়ুম বলেন, মাদ্রাসার জন্য জমি রেজিষ্ট্রি করা হয়েছে। এখানে জাল করে দলিল সম্পাদন করার বিষয়টি আমার জানানেই। তিনি বলেন, মাদ্রাসা করার জন্য যুক্তরাজ্য প্রবাসী আকদ্দছ আলী আমাকে বলেছেন এতটুকুই আমি জানি।

    এব্যাপারে অভিযুক্ত যুক্তরাজ্য প্রবাসী আকদ্দছ আলীর মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।



সর্বশেষ খবর


নিউজ খুঁজুন
আর্কাইভ
ফেইসবুক পেইজ