বিস্তারিত
  • বিশ্বনাথে স্বর্ণালংঙ্কার-কাপড়-মোবাইল লুঠ, মামলা


    বিশ্বনাথ বিডি ২৪ || 01 July, 2020, 5:05 PM || বিশ্বনাথ


    বিশ্বনাথ বিডি ২৪ঃ- বিশ্বনাথে উপজেলার সদর সদর ইউনিয়নের গোয়ালগাঁও গ্রাম থেকে পার্শ্ববর্তী মিরেরচর-২ (শরিষপুর) গ্রামস্থ নিজ বাড়িতে যাওয়ার পথিমধ্যে বিয়ের স্বর্ণালংঙ্কার-দুই সেট কাপড় ও মোবাইল সেট লুট হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। লুটকারীকে ধাওয়া করে নিজেদের জিনিসপত্র ফেরত চাওয়ায় স্বর্ণালংঙ্কার-কাপড়-মোবাইল সেট লুটকারী চক্র ক্ষতিগ্রস্থদের (জয়তুন-ফয়ছল) উপর হামলা করে। বিশ্বনাথ-মিরেরচর-হাবড়া সড়কের গোয়ালগাঁও গ্রামস্থ আলীমা ভিলার সামনে গত মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। স্বর্ণালংঙ্কার-কাপড়-মোবাইল সেট লুটকারী চক্রের হামলায় আহত হওয়ছেন মিরেরচর-২ (শরিষপুর) গ্রামের মানিক মিয়ার স্ত্রী জয়তুন নেছা (৫৫), চাচাতো ভাই ফয়ছল আহমদ (২০)। এসময় লুটকারী চক্রের সদস্যরা জয়তুন নেছাকে টানা-হেচড়া করে শ্লীতাহানী এবং ফয়ছল আহমদকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে গূরুত্বর আহত করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। স্বর্ণালংঙ্কার-কাপড়-মোবাইল সেট লুট ও হামলার ঘটনায় মিরেরচর-২ (শরিষপুর) গ্রামের মানিক মিয়ার স্ত্রী জয়তুন নেছা বাদী হয়ে বিশ্বনাথ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ২১ (তাং ২৯.০৬.২০ইং)। মামলার অভিযুক্তরা হলেন-উপজেলার গোয়ালগাঁও গ্রামের (আলীম ভিলা) মৃত আকলুছ আলীর পুত্র শাহিন মিয়া (৩৫), জাহাঙ্গীর মিয়া (২৫), জাহির আলীর পুত্র শাহেদ মিয়া (২২), মৃত আকলুছ আলীর স্ত্রী সুফিয়া বেগম (৫৭)। এছাড়া মামলায় আরো ৪ জনকে অজ্ঞাতনামা অভিযুক্ত করা হয়েছে। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে বাদীর ভাইপো তানভির আহমদ (১৪) গোয়ালগাঁও গ্রামস্থ নিজ বাড়ি থেকে বাইসাইকেলযোগে শপিং ব্যাগে করে বিয়ের দুই সেট কাপড় (আনুমানিক মূল্য ৭ হাজার টাকা), ৭ ভরি স্বর্ণালংঙ্কার (আনুমানিক মূল্য ৩ লাখ টাকা), একটি মোবাইল সেট (আনুমানিক মূল্য ১৫ হাজার টাকা) নিয়ে তাদের পার্শ্ববর্তী গ্রাম মিরেরচর-২ (শরিষপুর) গ্রামের মানিক মিয়ার স্ত্রী জয়তুন নেছার বাড়িতে যাওয়ার পথিমধ্যে আলীমা ভিলার সামনে বাইসাইকেল রেখে সড়কের পাশে প্রস্ব্রাব করতে বসে। তানভির প্র¯্রাবে থাকা অবস্থায় দেখতে পায় একটি ছেলে তার সাইকেলে তার জিনিপত্রের ব্যাগটি নিয়ে দৌড়ে আলীমা ভিলার ভিতরের দিকে যাচ্ছে। সেও তখন ছেলেটির পিছু পিছু দৌড়ে যায় এবং দেখতে পায় তখন ওই ছেলেটি আলীমা ভিলার একটি রুমে ডুকে দরজা বন্ধ করে দেয়। একাধিক বার ডাকাডাকির পরও ছেলেটিসহ ঘরের কেউ দরজা না খুললে তানভির বাড়িতে গিয়ে বাদীকে বিষয়টি অবহিত করে। এরপর বাদী স্বাক্ষীদের নিয়ে আলীমা ভিলায় উপস্থিত হন। অনেকক্ষন ডাকাডাকির পর বিবাদীগণ ঘরের বাইরে এসে বাদীসহ স্বাক্ষীদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে। এর এক পর্যায়ে বিবাদীগন দাসহ দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাদীসহ তার সঙ্গে থাকা লোকজনের উপর হামলা করে। হামলায় বাদীর চাচাতো ভাই ফয়ছল আহমদ গুরুত্বর আহত হয় এবং বাদীকে টানা-হেচড়া করে শ্লীতাহানী করে। বিবাদীগণ বাদীকে কিল ঘুষি লাথি মারতে মারতে এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলে থাকা একটি গাড়ির উপর ফেলে দিলে গাড়ির গ্লাস ভেঙ্গে যায়। এঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করেছেন বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শামীম মুসা।



সর্বশেষ খবর


নিউজ খুঁজুন
আর্কাইভ
ফেইসবুক পেইজ