বিস্তারিত
  • বিশ্বনাথে শিক্ষকদের উপর বহিরাগত ক্যাডার বাহিনীর হামলা ঃ আহত ৩, আটক ৪


    বিশ্বনাথ বিডি ২৪ || 29 June, 2020, 3:21 PM || বিশ্বনাথ


    বিশ্বনাথ বিডি ২৪ঃ- বিশ্বনাথে মৌলিক স্বাক্ষরতা প্রকল্পের শিক্ষক-শিক্ষিকাদেরকে তাদের প্রাপ্য বেতনের চেয়ে কম প্রদান করার প্রতিবাদ করায় তাদের উপর হামলা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ৩ শিক্ষক আহত হয়েছেন। বহিরাগত ক্যাডার বাহিনী দিয়ে প্রকল্পের উপজেলা প্রোগ্রাম অফিসার ও সুপারভাইজাররা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপর হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ তাদের। রোববার উপজেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো অফিসে ঘটনাটি ঘটে। হামলায় আহতরা হলেন প্রকল্পের শিক্ষক উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের ধলিপাড়া গ্রামের মৃত হাজী নজির উদ্দিনের পুত্র সামসুদ্দিন, আকবর আলীর পুত্র রাসেল আহমদ, রহমাননগর গ্রামের মৃত মানিক উদ্দিনের পুত্র মিজানুর রহমান টিটু। আহত শিক্ষকরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে চিকিৎসা গ্রহন করেছেন। এঘটনায় প্রকল্পের উপজেলা প্রোগ্রাম অফিসার পরাগ আচার্য্য, দশঘর ইউনিয়নের সুপার ভাইজার সুমন মিয়া, খাজাঞ্চী ইউনিয়নের সুপার ভাইজার আজিজুর রহমান, লামাকাজী ইউনিয়নের সুপারভাইজার ফারুক মিয়াকে আটক করেছে থানা পুলিশ। প্রকল্পের শিক্ষক-শিক্ষিকা সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বনাথে মৌলিক স্বাক্ষরতা প্রকল্পের আওতায় বয়স্কদের নিয়ে পরিচালিত গণশিক্ষার কার্যক্রমে নিয়োগকৃত শিক্ষকদের ৩ মাসের বেতন জনপ্রতি ৭ হাজার ২শত টাকা করে। কিন্তু প্রোগ্রাম অফিসার ও ৮ ইউনিয়নের সুপার ভাইজাররা মিলে টাকা দেওয়ার পূর্বেই প্রত্যেক শিক্ষককে বেতন সীটে স্বাক্ষর নিয়ে জনপ্রতি ৫ হাজার টাকা করে দেওয়া শুরু করলে প্রকল্পের শিক্ষকরা এর প্রতিবাদ করেন। এর এক পর্যায়ে প্রতিবাদী শিক্ষক-শিক্ষিকারা উপজেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো অফিস ঘেরাও করেন। এসময় প্রকল্পের সুপার ভাইজার দবির মিয়া, খলিলুর রহমান, সাইদুর রহমান, জাহানুর রহমান, সুমন মিয়া, আজিজুর রহমান, ফারুক মিয়া মোবাইলের মাধ্যমে অফিসে বহিরাগত ক্যাডার বাহিনী আনেন এবং তারা উপস্থিত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে ৩ শিক্ষক আহত হন। উপজেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো অফিস উপজেলা চেয়ারম্যান কার্যালয়ের পাশে থাকায় উপজেলা চেয়ারম্যান এস.এম.নুনু মিয়ার হস্তক্ষেপে পরিবেশ শান্ত হয়। তবে এসময় দবিরসহ হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এরপর উপজেলা চেয়ারম্যান থানা পুলিশে খবর দিলে উপজেলা প্রোগ্রাম অফিসার ও ৩ সুপার ভাইজারকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। শিক্ষকরাও থানার গেইটে অবস্থান নেয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থ শিক্ষকরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে। এব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শামীম মুসা বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। এর ঘটনাস্থল থেকে থানা পুলিশ প্রকল্পের উপজেলা প্রোগ্রাম অফিসারসহ ৩ সুপার ভাইজারকে নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে। ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, কোন শিক্ষক-শিক্ষিকা তাদের প্রাপ্য টাকার চেয়ে এক টাকাও কম দেওয়ার সুযোগ নেই। শিক্ষকদের প্রাপ্য টাকা তাদেরকে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আর হামলার ঘটনায় শিক্ষকরা যদি মামলা করেন, তাহলে মামলা নেওয়ার জন্য অফিসার ইন-চার্জকে বলা হয়েছে। বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস.এম.নুনু মিয়া বলেন, টাকা আত্মসাৎকারীদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিশ্বনাথে কোন দূর্নীতিবাজের স্থান নেই।



সর্বশেষ খবর


নিউজ খুঁজুন
আর্কাইভ
ফেইসবুক পেইজ